এতিমখানা দুর্নীতি: হাই কোর্টে খালেদার সাজা বেড়ে ১০ বছর

বিদেশ থেকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের নামে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2018, 04:38 AM
Updated : 8 Nov 2018, 06:46 AM

খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির আপিল এবং দুদকের একটি রিভিশন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দেয়।

এ মামলার ছয় আসামির মধ্যে জজ আদালতে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপরসন খালেদা জিয়া এবং দশ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ হাই কোর্টে আপিল করে খালাস চেয়েছিলেন।

অন্যদিকে মামলাকারী ও তদন্তকারী সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ বাড়াতে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদন করেছিল, যার ওপর রুল দিয়েছিল হাই কোর্টে।

নিম্ন আদালতের রায়ের আট মাসের মাথায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত জানাতে এজলাসে এসে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, তিনটি আপিল খারিজ করে দেওয়া হল। খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে যে রিভিশন আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত রুল জারি করেছিল, তা যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করা হলো। এবং খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো। 

খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর ক্ষেত্রে হাই কোর্ট কোন বিষয়টিকে আমলে নিয়েছে, তা এই সংক্ষিপ্ত রায়ে আসেনি।

তবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, খালেদা জিয়া ছিলেন এ মামলার মুখ্য আসামি। অন্য আসামিদের যেখানে ১০ বছরের সাজা হয়েছে, মুখ্য আসামি তার চেয়ে কম সাজা পেতে পারেন না। এ কারণে হাই কোর্টের রায়ে সব আসামির সাজা সমান করা হয়েছে বলে তিনি অনুমান করছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের পাশাপাশি দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে আসামি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের কেউ আদালতে আসেননি।

রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ে তারা ‘আপাত খুশি’।

 “বেগম জিয়া ছিলেন এই মামলার মুখ্য আসামি। সেই গ্রাউন্ডে তার সাজা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছিল। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন। ফলে মামলায় সব আসামির সাজাই ১০ বছর হল।”

অন্যদিকে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন রায়ের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আপিল বিভাগ ও হাই কোর্ট বিভাগ ‘তাড়াহুড়ো করে’ এই রায় দিয়েছে।

খালেদা জিয়া কোথাও ন্যায়বিচার ‘পাননি’ মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, “আমরা হতবাক। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় কেবল এটাই বলব।”

এক দশক পর রায়

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের এই মামলা দায়ের করা হয়ে ২০০৮ সালে, দেশে তখন জরুরি অবস্থা।

দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছর ৮ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার বকশীবাজারে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাস থেকে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক আখতারুজ্জামান।

খালেদা জিয়াকে ‘ক্ষমতায় থেকে অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের’ কারণে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন তিনি।

মামলার বাকি পাঁচ আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান, সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে দেওয়া হয় দশ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড।

সেই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন বিচারক।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, “এ ঘটনায় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ মামলার ছয়জন আসামির প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে লাভবান হয়েছেন। তারা রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।”

ওই রায়ের পরপরই খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় তিনিই ছিলেন পরিত্যক্ত ওই কারাগারের একমাত্র বন্দি।

পরে হাই কোর্টের আদেশে ৭৩ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে নেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। সেখানে তিনি কারা তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।

বাকি আসামিদের মধ্যে তারেক মুদ্রা পাচারের এক মামলায় সাত বছর এবং ২১ অগাস্ট গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন সাজার রায় মাথায় নিয়ে গত দশ বছর ধরে পালিয়ে আছেন দেশের বাইরে। কামাল সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানও পলাতক। আপিল না করায় এ মামলায় তাদের দশ বছরের সাজাই বহাল আছে।

সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আগে জামিনে থাকলেও হাই কোর্টের রায়ের পর তা বাতিল হয়ে গেছে।

৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮: জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণার পর বকশীবাজারের বিশেষ আদালত থেকে কারাগারের পথে খালেদা জিয়া।

আপিল ও রিভিশন

জজ আদালতে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর সাজার রায় আসে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় ‘অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের’ কারণে।

ওই ধারায় বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি তাহার সরকারি কর্মচারীজনিত ক্ষমতার বা একজন ব্যাংকার, বণিক, আড়তদার, দালাল, অ্যাটর্নি বা প্রতিভূ হিসাবে তাহার ব্যবসায় ব্যাপদেশে যে কোনো প্রকারে কোনো সম্পত্তি বা কোনো সম্পত্তির উপর আধিপত্যের ভারপ্রাপ্ত হইয়া সম্পত্তি সম্পর্কে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করেন, সেই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা দশ বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবে এবং তদুপরি অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।”

পূর্ণাঙ্গ রায়ে নিম্ন আদালত বলে, সরকারি এতিম তহবিলের টাকা এতিমদের কল্যাণে ব্যয় না করে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করে খালেদা জিয়াসহ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামিরা রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধ করেছেন।

বাকি পাঁচ আসামিকে এই ধারার সর্বোচ্চ সাজা দিলেও প্রধান আসামিকে কম দণ্ড দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে রায়ের দিন বিচারক বলেন, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলেও বয়স ও সামাজিক মর্যাদার কথা বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ওই রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর ২০ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে আপিল করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ২২ ফেব্রুয়ারি তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে খালেদার অর্থদণ্ড স্থগিত করে আদালত।

আর দুর্নীতি দমন কমিশন খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ বাড়াতে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদন করে গত ২৫ মার্চ। দুদকের যুক্তি ছিল, আদালত মুখ্য আসামিকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়ে সহযোগী আসামিদের দিয়েছে ১০ বছরের সাজা। এটা সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য।

সেই আবেদনের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি কেরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চ ২৮ মার্চ রুল জারি করে। জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা কেন বাড়ানো হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে। তবে আদালত বলে দেয়, রুলের ওপর শুনানি হবে খালেদা জিয়ার আপিলের সঙ্গে।

গত ১২ জুলাই এ মামলার আপিল শুনানি শুরু হওয়ার পর ২৮ কার্যদিবসের মধ্যে ২৬ কার্যদিবস খালেদা জিয়ার আপিলের উপর শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তার আইনজীবীরা।

এরপর গত ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবী তাদের যুক্তিতর্ক শেষ করেন। শুনানিতে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে যাবজ্জীবন চাওয়া হয় দুদকের পক্ষ থেকে। আর রাষ্ট্রপক্ষ বিচারিক আদালতের দেওয়া ৫ বছরের সাজা বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি দেয়।

এর মধ্যেই গত ২২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এ মামলার অর্থের উৎসের বিষয়টি স্পষ্ট করতে অতিরিক্ত সাক্ষ্য চেয়ে আবেদন করেন। বিষয়টি নিয়ে তারা আপিল বিভাগেও যান। সেই সঙ্গে এ মামলার আপিল নিষ্পত্তির সময় চেয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেন।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ সোমবার সময়ের আবেদন খারিজ করে দিলে আগের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিল শুনানি শেষ করার বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়।

এরপর হাই কোর্ট সোমবারই অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে শুনানির সমাপ্তি টানে এবং রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন রাখে।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সোমবার হাই কোর্টে এ মামলার যুক্তিতর্কের সমাপনীতে উপস্থিত না থাকলেও মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগে গিয়ে রায় স্থগিতের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাদের সেই আবেদনে সর্বোচ্চ আদালত সাড়া দেয়নি।

রায়ের পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন বলেন, “আপিল বিভাগ সোমবার দুপুরে যে আদেশ দিয়েছে, বিকালের মধ্যে তাতে সাত বিচারপতির স্বাক্ষর হয়ে গেছে। সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এতো তাড়াতাড়ি কোনো রায় হয়েছে কি-না, আমরা জানি না।”

আপিল বিভাগের রায়ের বিষয়ে খালেদার আইনজীবীদের হাই কোর্ট বিভাগ থেকে কোনো নোটিস দেওয়া হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, “কালকেই ওটাকে ডিসপোজাল দেখিয়ে আজকে রায় দিয়ে দিয়েছে।”

৬ অগাস্ট খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নেওয়া হয়

নির্বাচন করতে পারবেন খালেদা?

দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হওয়ায় ১৯৯১-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কি না- সেই প্রশ্ন আবারও সামনে চলে এসেছে।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় কারও ন্যূনতম দুই বছর কারাদণ্ড হলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। কিন্তু বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে এবং উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ ও নজির রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রায়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে দুই রকম ব্যাখ্যা আছে। এক, সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা। দুই, সাজা বাতিল করা। এ ক্ষেত্রে আমার অভিমত হল, কেউ যদি নির্বাচন করতে চান, সাজাটা আদালতের মাধ্যমে বাতিল করতে হবে। সাময়িক স্থগিত থেকে নির্বাচন করা যাবে না বলে মনে করি।”

হাই কোর্টের এরই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল বিচারাধীন থাকলে নিয়ম কী হবে জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, “আপিল পেন্ডিং থাকলেও লাভ হবে না। স্থগিত হলে জেল থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু নির্বাচনে নয়।”

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, “সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬(২) এর ‘ঘ’ দফা অনুসারে খালেদা জিয়া নির্বাচনের অযোগ্য হয়ে গেছেন আগেই। এখন নতুন করে বলার কিছু নেই। আগেই উনার ৫ বছরের সাজা হয়েছে। চ্যারিটেবলে ৭ বছর। আজকে ১০ বছর হল। কাজেই উনার পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ আর সম্ভব না।”

দুদকের এই আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়া দণ্ডিত হয়েছেন দুর্নীতির দায়ে। আর সংবিধানে বলা আছে, নৈতিক স্খলনের দায়ে কারো দুই বছরের সাজা হয়ে থাকলে তা শেষ হওয়ার পরের পাঁচ বছর পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। ফলে খালেদার জিয়ার নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ‘প্রশ্নই আসে না’।

সোমবার জজ আদালতে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার সাত বছর সাজার রায়ের পর এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন সাংবাদিকরা।

জবাবে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কি না, তা নির্ভর করবে আদালতের ওপর। উচ্চ আদালত নির্দেশ দিলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন।”