শুক্রবার সকালে ঢাকার নয়া পল্টনের একটি রেস্তোঁরায় এক বৈঠকে লেবার পার্টির একদল নেতা ২০ দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এই অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি। মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে লেবার পার্টির আরেক অংশ ২০ দলীয় জোটে সক্রিয় রয়েছে।
কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে বিএনপি যোগ দেওয়ার পর ২০ দলীয় জোট ছেড়েছিল জেবেল রহমান গানি নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাপ, খন্দকার গোলাম মুর্তজা নেতৃত্বাধীন এনডিপি। তবে দল দুটির দুই অংশ ২০ দলেই থেধকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন না থাকা লেবার পার্টির ক্ষেত্রেও তা ঘটল।
মোস্তাফিজুর রহমান ইরান নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টিতে নেতৃত্বের কোন্দল গত বছর ধরে চলছিল। এর এক পর্যায়ে হামদুল্লাহ আলাদাভাবে চলছিলেন।
“আমাদের দল ক্ষমতার পালা বদলের নামে কোনো অশুভ শক্তির ক্ষমতা গ্রহণ করে আবারও দেশকে রাজনীতিশূন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে না।”
“এই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টি নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির স্বার্থে আজ থেকে ২০ দলীয় জোটের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করছে,” বলেন হামদুল্লাহ।
দলে বিভেদের বিষয়ে তিনি বলেন, “২০১৭ সালের ৫ মে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং জামায়াতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় দলের আদর্শ ও দেশবিরোধী কার্যলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তৎকালীন চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
“বিএনপি মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের অংশকে ২০ দলীয় জোটে রেখে দেয়। সিলেট সিটি নির্বাচনে এই অংশটি ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীর বিপক্ষে সরাসরি নির্বাচনের মাঠে থাকলেও তার বিরুদ্ধে জোটের নেতা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই।”
ইরানবিরোধী অংশের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয় এমদাদুল হক চৌধুরীকে। শুক্রবার তার সভাপতিত্বে বৈঠকে ২০ দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়।
হামদুল্লাহ ছাড়াও এই বৈঠকে ভাইস চেয়ারম্যান রামকৃষ্ণ সাহা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মহসিন ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, শামীমা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।