সংলাপ ‘বাড়তি ঝামেলা’: কাদের

দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তফসিলের আগে সংলাপের ‘বাড়তি ঝামেলা’ করার কোনো প্রয়োজন নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2018, 10:33 AM
Updated : 22 Oct 2018, 11:32 AM

বিএনপিকে সাথে নিয়ে ড. কামাল হোসেনের গড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে সরকারকে চিঠি দেবে বলে জানিয়েছে।

সরকারবিরোধী নতুন এই জোটের উদ্যোগের বিষয়ে সোমবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমি পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার কথা নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তাহলে সব মিলিয়ে পনেরো দিনের বেশি দাঁড়ায় না।

“তফসিল ঘোষণার আগে এ সময়ে আলাপ আলোচনা বা সংলাপের দাবি অবাস্তব, অযৌক্তিক এবং অপ্রয়োজনীয়। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি নেই, অশান্ত-অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে যে, সেজন্য সংলাপ দরকার।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ যে পরিবেশ দরকার, সেই পরিবেশ সারাদেশে বিরাজমান। কাজেই এই শান্ত পরিবেশ যেখানে দেশে বিরাজমান, সেখানে সংলাপ বাড়তি ঝামেলা। সংলাপের দাবি করে একটা বাড়তি ঝামেলা সৃষ্টি করার কোনো প্রয়োজন নেই।”

সরকার ও সরকারি দলকে দেওয়া চিঠিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের সাত দফা দাবি তুলে ধরবে বলে জানিয়েছেন ফুন্টের নেতা জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।

সংসদ ভেঙে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে সাত দফা দাবি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। তবে তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে সড়ক দিবসের ওই অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের আবারও বলেন, ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি মানা সম্ভব নয়।

“এই আলোচনাটা তারা করবেন তাদের সাত দফা ইস্যুতে। আমরা আগেও বলেছি এখনও বলছি, এটা অবাস্তব অযৌক্তিক দাবি। এর একটা দাবিও মেনে নেওয়ার মত অবস্থা, পরিস্থিতি এখন দেশে বিরাজমান নেই।

“সংবিধান বহির্ভূত কোনো দাবি মেনে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই মূহূর্তে সংবিধান সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই, কোনো প্রয়োজন নেই।”

দাবি আদায়ের নামে সহিংসতা করলে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়ে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ ঐক্যফ্রন্টকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে।

“কিন্তু আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য, সভা-সমাবেশের নামে, দাবি আদায়ের নামে বিএনপি যদি ২০১৪ সালের মতো সহিংসতা-নাশকতার পথে যেতে চায়, তাহলে কিন্তু দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রতিরোধ করব এবং পুলিশ প্রশাসন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সমুচিত জবাব দেবে।”