জোটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যলয়ে অনুষ্ঠিত জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় এক প্রস্তাবে এই মতপ্রকাশ করা হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, “সরকার বিরোধীদেরকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে দমন-নিপীড়নের স্বৈরতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী পথ অবলম্বন করেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের শান্তিপূর্ণ নিরীহ কর্মসূচিকেও তারা ভয় পাচ্ছে এবং ‘নাশকতার’ উদ্ভট সব অজুহাত তুলে কর্মসূচিকে পণ্ড করে দিতে তৎপর রয়েছে।“
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ‘নির্যাতন-নিপীড়ন বহাল রেখে’ সরকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে চলেছে অভিযোগ করেছে বাম জোট।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এই পরিস্থিতিতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো অবকাশ নেই।”
প্রস্তাবে সরকারকে ইতিহাসের পাঠ নিয়ে দমন নিপীড়নের পথ পরিহার করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠনে কার্যকরি রাজনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন, সংসদ বাতিল, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি প্রবর্তনসহ গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে আগামী ২৩ অক্টোবর ঢাকাসহ দেশব্যাপী ‘গণ অবস্থান’ সফল করার আহ্বান জানানো হয়।
ঢাকায় বেলা ১১টায় থেকে ২টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে এই গণঅবস্থান অনুষ্ঠিত হবে।
বাম জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের ফিরোজ আহমেদ, বাসদের (মার্কসবাদী) নেতা ফখরুদ্দিন কবীর আতিক উপস্থিত ছিলেন।