শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্প্রতি বহিষ্কৃত এক নেতার মুখে নতুন কমিটি ঘোষণার পর বিকালে বারিধারায় নিজ বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এ সন্দেহের কথা তুলে ধরেন তিনি।
মাহি বলেন, “রাজনীতিতে ভিন্নমত যে কেউ পোষণ করতে পারে; চাইলে আরেকটা দলও গঠন করতে পারে। কিন্তু দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর কীভাবে একই নাম দিয়ে আরেকটি দল গঠন করে এবং মূল নেতৃত্বকে বহিষ্কারের কথা কেউ বলতে পারে- এটা খুবই হাস্যকর এবং নোংরামি।
“জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য এটা করা হয়েছে। এর পেছনে অনেকে বলছে, বিএনপির হাত রয়েছে, আমারও তাই বিশ্বাস হচ্ছে। তারা এধরনের একটি ষড়যন্ত্র করছে বলে গতকাল থেকেই আমরা শুনছিলাম।”
বিকল্প ধারার যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, “বিএনপি সব সময় আমাদের সঙ্গে এধরনের নোংরা আচরণ করে আসছে। বিএনপির বর্তমান ব্যর্থ নেতৃত্ব যে ধীরে ধীরে দেউলিয়াত্বের দিকে যাচ্ছে এটা তারই প্রমাণ।”
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সম্প্রতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নতুন জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় ছিলেন এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্প ধারা। কিন্তু বিএনপি তাতে যোগ দিতে চাইলে তাদের জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়ার শর্ত দেয়
বিএনপির স্পষ্ট বক্তব্য না আসার মধ্যে তাদের নিয়ে জোট গঠনে কামাল হোসেন এগিয়ে গেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আর যোগ দেয়নি বি চৌধুরীর দল।
ঐক্যফ্রন্টে যোগ না দেওয়ায় অসন্তুষ্ট হয়ে বিদ্রোহ করা দলের সহসভাপতি বাদলসহ কয়েকজনকে ওই দিনই বহিষ্কার করেন বিকল্প ধারা সভাপতি বি চৌধুরী।
তার প্রতিক্রিয়ায় এক সপ্তাহ পর বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নতুন কমিটি ঘোষণা করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
সেইসঙ্গে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে গঠনতন্ত্রের ৫/২ ধারা অনুযায়ী সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মহাসচিব আবদুল মান্নান ও যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি চৌধুরীকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারীর নেতৃত্বে নতুন কমিটি গঠন করেছেন জানিয়ে নিজেদের বিকল্প ধারার ‘মূলধারা’ হিসেবেও দাবি করেন বাদল।
এবিষয়ে মাহি বলেন, “ড. নুরুল আমিন চার বছর ধরে নিষ্ক্রিয় আছেন। বাকি দুইজনকে কয়েকদিন আগে বহিষ্কার করেছেন দলের সভাপতি বদরুদ্দোজা। পত্রিকায় সেই নিউজও হয়েছে।”
বি চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট সম্প্রসারণের কাজ এগিয়ে চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন করেছেন, এমপি হয়েছেন, মন্ত্রী ছিলেন- এমন লোকদের নিয়ে জোট বর্ধিত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।”