“আমাদের সংবিধান বলে যে, নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচনকালীন সরকার ইসিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দান করবেন। কিন্তু আমরা দেখি যে, দলীয় সরকার থাকে ক্ষমতায়, সেই সরকার সহায়তা করে না, প্রভাবিত করে। আমরা প্রভাবিত করার সরকার চাই না, সহায়তা করার একটা সরকার নির্বাচনকালে থাকুক - এই দাবি করছি।”
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নজরুল বলেন, “অর্থমন্ত্রী বলেছেন ড. কামাল হোসেন জিরো। মাননীয় অর্থমন্ত্রী বিচারপতি আবদুস সাত্তারের বিরুদ্ধে আপনার দল ও অন্যান্য দল কামাল হোসেনের থেকে যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পান নাই। তাকে প্রার্থী করেছিলেন রাষ্ট্রপতি পদে, আজকে তিনি জিরো। স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী আ স ম আবদুর রব আপনাদের গত সরকারের মন্ত্রী ছিলেন, সেও জিরো।
“আর আপনি সরকারি চাকরি করে এরশাদের উপদেষ্টা, মন্ত্রী হইলেন, আওয়ামী লীগের এখানে আইসা মন্ত্রী হলেন, এখন আপনি প্লাস হয়ে গেলেন। আর যে বিএনপি বার বার আপনাদেরকে পরাজিত করে সরকার গঠন করেছে সেই বিএনপিও আপনার কাছে জিরো। তাহলে প্লাসটা কে? আপনাদের যে শাসনামল, এই আমলে রাজনৈতিক দলকে প্লাস রাখার ব্যবস্থাই রাখেন নাই।”
তিনি বলেন, “আমরা তো আওয়ামী লীগকে প্রতিদ্বন্দ্বি করি না। আমি যখনই মিছিল-মিটিং করতে যাই তখনই আমার সামনে দাঁড়ায় পুলিশ-র্যাব-বিজিবি, আওয়ামী লীগ না।”
বিএনপি নেতা নজরুল বলেন, “আওয়ামী লীগ আইনি অস্ত্রধারী যে বাহিনী, তাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, চুরি করে, ভোট কেটে নির্বাচিত হয়েছে, যে সরকারের আমলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না, সেখানে নির্দলীয় সরকারের দাবি, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্বাচনকালে সশস্ত্রবাহিনী নিয়োগের দাবি, ইভিএম বাতিলের দাবি, সংসদ ভেঙে দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার দাবি- এগুলো কোনোটাই অন্যায় দাবি না।”
বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আফসার আহম্মেদ সিদ্দিকীর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে আফসার আহম্মেদ সিদ্দিকী ফাউন্ডেশন।
প্রয়াত নেতার স্ত্রী দলের নার্সেস বিষয়ক সহ-সম্পাদক জাহানারা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, রফিক শিকদার, প্রয়াত আফসার আহম্মেদ সিদ্দিকী ছেলে প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।