নীরুর নেতৃত্বে নতুন সংগঠন

জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে নতুন সংগঠন ‘মুভমেন্ট ফর জাস্টিস’, যারা সদ্যগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2018, 06:27 PM
Updated : 30 Oct 2018, 11:56 AM

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাবেক ছাত্রদল নেতা সানাউল হক নীরু এই নতুন সংগঠনের ঘোষণা দেন। তিনি সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক।

গত শতকের ৮০ এর দশকের ছাত্রদল নেতা নীরু ১৯৯০ এর ডাকসু নির্বাচনের আগে সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হন। তার বিরুদ্ধে সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগও করেন নব্বইয়ের ছাত্রনেতারা।

এরপর দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় নীরু বুধবারের অনুষ্ঠানে নিজের দুঃখ-বেদনার কথা বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।   

তিনি সংগঠনের ১২ দফা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন বলেন, “আমরা রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন চাই। একটি ইতিবাচক গণতান্ত্রিক ও সুস্থধারার রাজনীতির চর্চা চাই। আমরা এই পরিবর্তনের প্রত্যাশা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণতান্ত্রিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সাথে যুক্ত হতে চাই।”

অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কামাল হোসেন থাকার কথা থাকলেও তিনি অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি। উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি নিজের একটি ভুলের কথা তুলে ধরে অনুষ্ঠানে বলেন, “দেখেন, আমি একটা কথা বলেছিলাম। কথাটায় একটা ভুল ছিল, শব্দের ভুল ছিল, শব্দ বিভ্রাট হয়েছে, শব্দ চয়নে ভুল হয়েছে। তাহলে আমি কি রাষ্ট্রদ্রোহ করেছি? আমি ভুলটা স্বীকারও করেছি।

“রাষ্ট্র আজকে মানসিক রোগাগ্রস্ত হয়ে গেছে। আমরা ভীষণ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছি। আমাদের চোখে ছানি পড়ে গেছে। আমরা গণতন্ত্রের কথা বলছি। গণতন্ত্র শুধু বক্তৃতায় না, সংখ্যা দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না, গণতন্ত্র হতে হবে সর্বত্র। গণতন্ত্র অর্থ কথা বলতে পারা। যেখানে মানুষ কথা বলতে পারে না সেখানে গণতন্ত্র নেই।”

তিনি বলেন, “ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করেছি। গণতন্ত্র যদি চান, শান্তির বাংলাদেশে যদি চান, কল্যাণকর বাংলাদেশ যদি চান, তাহলে আপনারা সবাই আমাদের সাথে যোগ দেন।”

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন, “আজকে যেটা হচ্ছে এটা ভয়াবহ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে শাসনতন্ত্র এটা নির্বাসনে দেওয়া হয়েছে, বাস্তবে এটা প্রয়োগ করা হবে না।

“অন্ধ রাজনীতি করতে গিয়ে আমরা আজকে বিভক্ত হয়ে গেছি। কেউ আওয়ামী লীগ করবে, কেউ বিএনপি করবে। ঠিক আছে দলীয় রাজনীতি আপনারা করেন। কিন্তু ভোটটা ও নির্বাচনটা সবার। এজন্য এই অবস্থার পরিবর্তন অবশ্যই করতে হবে।”

নীরুর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন, সাবেক ছাত্র নেতা এনামুল হক শহীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, সাংবাদিক রিতা রহমান বক্তব্য রাখেন।