জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পরের কর্মসূচি চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে

সিলেটের পর  চট্টগ্রাম  ও রাজশাহীতে জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। চট্টগ্রামে জনসভা হবে ২৭ অক্টোবর, সিলেটে হবে ৩০ অক্টোবর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2018, 05:52 PM
Updated : 17 Oct 2018, 06:04 PM

বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে জোটের এক বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের একথা জানান।

তিনি বলেন, “আগামী ২৩ অক্টোবর সিলেটে হজরত শাহ জালাল ও হজরত শাহ পরানের মাজার জিয়ারত করব, এরপর সেখানে জনসভা করব।

“আজকের বৈঠকে চট্টগ্রামে ২৭ অক্টোবর এবং রাজশাহীতে ৩০ অক্টোবর জনসভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার বিকালে গুলশানের লেইক শোর হোটেলে কূটনীতিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। পরে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন তারা।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, “বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটির সদস্যদের নাম আজ-কালের মধ্যে আমরা গণমাধ্যমকে জানাব।”

কত সদস্যের লিয়াজোঁ কমিটি হবে- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সংখ্যা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আমরা আশা করি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আরও দল অন্তর্ভুক্ত হবে, সেজন্য সংখ্যা নির্ধারণ কবিনি।”

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর এটাই বিএনপির কোনো কার্যালয়ে জোট নেতাদের প্রথম বৈঠক। এর আগে বেশিরভাগ বৈঠক হয় ফ্রন্ট নেতাদের বাসায়। গুলশানে খন্দকার মোশাররফের বাসায় একটি বৈঠক হয়েছিল।

এক ঘণ্টার এই বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সহসভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাহেদুর রহমান, গণফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও ছিলেন বিএনপিপন্থি পেশাজীবী নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ‍উপদেষ্টা মইনুল হোসেন ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মো. মনসুর।

গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য নিয়ে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ হয়।

সরকারবিরোধী নতুন জোটে বিএনপি, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, গণফোরাম রয়েছে। মতভিন্নতার কারণে এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা এখানে নেই।