জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় রায়ের দিন ঠিক হওয়ার পর বুধবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “২৯ (অক্টোবর) তারিখ কেন? তারা চাইলে কালকেও দিতে পারেন। রায় তো আগেই লেখা হয়ে আছে।”
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর বিএনপি চেয়ারপারসন বন্দি থাকার মধ্যে আরেকটি মামলায় রায় হতে যাচ্ছে। বিএনপির দাবি, এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা।
আদালতের প্রতি আস্থাহীনতার কারণ ব্যাখ্যা করে নজরুল বলেন, “তারেক রহমান সাহেবকে যে বিচারক (মোতাহার হোসেন) খালাস দিয়েছিলেন, ইউটিউবে তার বক্তব্য শুনলাম যে, কীভাবে রায় লিখে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমাদের সাবেক প্রধান বিচারপতির (এস কে সিনহা) যে বক্তব্য শুনলাম ফেইসবুকে- কীভাবে তার ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। এসব জানার পরে সুবিচারের প্রত্যাশা করাও এক ধরনের বোকামি।”
নজরুল সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “একটার পর একটা ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে, তার কোনোটারই বিচার হয়নি। রাষ্ট্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ লুট হয়ে গেল, কোনো বিচার নেই। এই লুণ্ঠনের বিচার দ্রুত করার আগ্রহ সরকারের নেই।
“আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের ৩ কোটি টাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল, সেটা দ্রুততর করা হয়েছে।”
সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে নজরুল বলেন, “আসুন, এই অবস্থার পরিবর্তনে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনে জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের কাছে যাই, তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করি।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ড্যাবের এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নজরুল। সংগঠনের সহসভাপতি অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অধ্যাপক আবদুল মান্নান মিয়া, অধ্যাপক আশরাফ হোসেন, অধ্যাপক সিরাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মোস্তাক রহিম স্বপন, অধ্যাপক এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডা. বজলুল গনি ভুঁইয়া, ডা. সাইফুল ইসলাম সেলিম, ডা. তৌহিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।