শারদীয়া দুর্গোৎসবে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানাতে মঙ্গলবার রাতে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যান মহাসচিবসহ বিএনপি নেতারা।
ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান হয়। বিএনপি মহাসচিব উপস্থিত হলে তাকে স্বাগত জানান মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুরেন্দ্র নাথ মজুমদারসহ নেতারা।
শুভেচ্ছা বক্তব্যের আগে মন্দির প্রাঙ্গণে পূজা দেখেন ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা। এর মধ্যে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক গৌতম চক্রবর্তী।
ফখরুল বলেন, “এই দিনে আমাদের সকলের প্রার্থনা হোক, বাংলাদেশ থেকে অন্যায় চলে যাক, অত্যাচার চলে যাক, নির্যাতন চলে যাক। অসুর সে যত শক্তিশালী হোক, তাকে অবশ্যই আমাদেরকে পরাজিত করতে হবে।
“দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয় শক্তির জন্যে। কোন শক্তি? অসুরের যে শক্তি তাকে বধ করবার জন্যে। অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই উপাসনা। সব রকমের নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোয় দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার আরাধনা এই সময়ে হয়ে থাকে।”
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “হিন্দু-মুসলমান হাজার হাজার বছর ধরে এখানে বাস করছে একই বৃন্তে দুইটি ফুলের মতোই। দুর্গা পূজার সময়ে অপূর্ব মিলন মেলা ঘটে থাকে।”
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জমি দখলমুক্ত করতে খালেদা জিয়া ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার অবদানের কথা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আলীম, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, অমলেন্দ্র অপু, দেবাশীষ রায়, রমেশ দত্ত, আমিনুল ইসলাম, জুলফিকার মতিন, তরুন দে, জাসাসের হেলাল খান, শায়রুল কবীর খান উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিএনপি মহাসচিব বনানী মাঠে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন।