জাপায় ভাঙনের খবর কাল্পনিক: হাওলাদার

নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টিতে ভাঙনের যে খবর রটেছে, তা কাল্পনিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দলটির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2018, 06:57 PM
Updated : 9 Oct 2018, 06:57 PM

মঙ্গলবার ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভার পর সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় একথা বলেন তিনি।

সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একটি অংশ আলাদা হয়ে যাচ্ছে বলে খবর ছড়িয়েছে কয়েকটি ইন্টারনেটে।

হাওলাদার বলেন, “পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এটা কাল্পনিক, বিভ্রান্তিকর, অসত্য তথ্য।”

সরকারের মধ্য থেকে এমন ভাঙন ধরানো হচ্ছে বলে এই গুঞ্জনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “সরকারের ভাবনা...? আচ্ছা.. সরকারের সাথে কথা বললে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।”

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের (ইউএনএ)  শরিক দলগুলোর মধ্যে আসন ভাগাভাগি ও নির্বাচনী প্রচারণার প্রক্রিয়া অক্টোবরেই চূড়ান্ত হবে বলে জানান হাওলাদার।

ইউএনএ’র মুখপাত্র হাওলাদার বলেন, “জাতীয় জোটের শরিকরা কে কোথা থেকে নির্বাচন করবেন, কে কোন আসনে প্রার্থী হবেন, এটা নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। আশা করি, এ মাসেই (অক্টোবরে) আমরা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করব।”

ইউএনএ-তে প্রথমে যোগ দেয় ইসলামিক ফ্রন্ট, জাতীয় ইসলামী মহাজোট, বাংলাদেশ জাতীয় জোট (বিএনএ)। পরে খেলাফতে মজলিস জোটে যোগ দিলে জোটের সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচে।

এই জোটে সমমনা আরও কটি দল যোগ দিতে পারে বলে একাধিক সভায় জানিয়েছেন এরশাদ।

তিনি আরও বলেছেন, বিএনপি ভোটে অংশ নিলে আওয়ামী লীগের সঙ্গেই জোট বেঁধে নির্বাচন করবেন তারা।

বি চৌধুরী ও কামাল হোসেনের ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে হাওলাদার বলেন, “জোট তো হতেই পারে। নির্বাচনের আগে অনেক মেরুকরণও হতে পারে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।”

জাতীয় পার্টি আশা করছে, নির্বাচনে সবগুলো দলই অংশ নেবে।

হাওলাদার বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে। আমরা একটা স্থিতিশীল পরিবেশও সৃষ্টি করতে চাই। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানও সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অনেকে সাড়া দেননি। আবেদন কেবল অরণ্যে রোদন হয়েছে।

“তবে আমার মনে হয়,  সবাই মিলে এক টেবিলে বসে এই জাতীয় সমস্যার সমাধান করলে দেশ ও দেশের বাইরে তা সমাদৃত হত।”

আগামী ২০ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির সমাবেশের প্রস্তুতি নিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নানা নির্দেশনাও দেন হাওলাদার।