২১ অগাস্ট মামলার রায় দেখে বিএনপির সিদ্ধান্ত

একুশে অগাস্টের মামলার রায়ের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রায় কী হয়, তা দেখার পর কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2018, 01:14 PM
Updated : 9 Oct 2018, 01:20 PM

“আগামীকাল রায় কী হয়, তারপরেই আমরা আমাদের বক্তব্য ও মতামত জানাব। তবে আমরা যেটাই করি, সেটা শান্তিপূর্ণই হবে। আমরা এমন কোনো ধরনের কাজ করব না, যেটাতে জনগণ কষ্ট পায়।”

তবে আগামীতে যে কোনো কর্মসূচি পালন করার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।

২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান অন্যতম প্রধান আসামি; যদিও তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে দলটির দাবি।

এক দশক ধরে লন্ডনে থাকা তারেকের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার ও দুর্নীতির দুটি মামলায় কারাদণ্ডের রায় হয়েছে। তার মা খালেদা জিয়াও দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে এখন কারাবন্দি।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার শর্ত হিসেবে খালেদা জিয়ার মুক্তির শর্ত দিয়েছে বিএনপি; এর মধ্যেই তারেকের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলার রায় হতে যাচ্ছে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান মামলার অন্যতম প্রধান আসামি

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, “রায় নিয়ে প্রহসনের মঞ্চে পর্দা ওঠার পর কী দৃশ্যমান হবে, তা নিয়ে এখন সকলের মধ্যে সংশয় ও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

“সরকারের নির্দেশিত ফরমায়েশি রায় বাস্তবায়নের জন্য নানা কিছু করা হয়েছে ইতোমধ্যে। প্রধান বিচারপতিকে বন্দুকের মুখে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল ২১ অগাস্ট হামলার রায়ও সরকারের ইচ্ছার বাইরে হতে পারবে কি না, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে।”

রায়ের পর কর্মসূচি দেওয়া হলেও বিএনপি নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন রিজভী।

তিনি বলেন, “অতীতের মতো বর্তমান অবৈধ সরকার নানাভাবে নিজেরাই নাশকতা সৃষ্টি করে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর মতো পরিকল্পনা করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর দায় চাপাতে পারে।”

“সরকারের কোনো উস্কানিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আমি নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এজন্য আমি নেতা-কর্মীদের সতর্ক থেকে দলীয় যে কর্মসূচি আসবে, তা সাফল্যমণ্ডিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

সংবাদ সম্মেলনে গত ৭ অক্টোবর নোয়াখালীতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের বাসায় পুলিশি তল্লাশি, দলের প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানানো হয়।

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে রিজভীর সঙ্গে ছিলেন হাবিবুর রহমান হাবিব, মজিবর রহমান সারোয়ার, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ।

এদিকে একুশে অগাস্ট মামলার রায়ের আগের দিন বিকাল থেকে বিএনপির নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে র‌্যাবের পাঁচটি গাড়ির একটি দল মহড়া দিয়ে চলে যায়।

কার্যালয়ের ভেতরে রিজভী ছাড়াও রয়েছেন দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদসহ কয়েকজন কর্মচারী।