যেখানেই যাচ্ছি, সাড়া পাচ্ছি: কামাল

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার পক্ষে যে পাঁচ দফা দিয়েছেন, তার পক্ষে জনগণের সাড়া পাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2018, 02:32 PM
Updated : 7 Oct 2018, 02:32 PM

তিনি বলেছেন, “নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, অবাধ না হয়, জনগণ তাদের মালিকানা থেকে বঞ্চিত হয়। এই উপলব্ধি থেকে আমাদের ডাকে অসাধারণ সাড়া পেয়েছি।”

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে একথা বলেন কামাল।

বিকল্প ধারা সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে মিলে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার পক্ষ থকে গত মাসে ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন কামাল।

তারা সংসদ ভেঙে ইসি পুনর্গঠন করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি তুললেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আওয়ামী লীগের দেশ পরিচালনার সমালোচনা করে কামাল বলেন, “স্বাধীনতার যে প্রতিশ্রুতি সেটা পালন হচ্ছে না। আজকে জনগণ এটা ভালোভাবে উপলব্ধি করছে বলে আমি দেখছি যে, যেখানে কর্মসূচি করি অসাধারণ একটা সাড়া পাই।”

নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে তাদের এই আন্দোলন সফল হওয়া আশা প্রকাশ করেন তিনি।

“অলরেডি তো যে অনেকটা সফল, এটা আপনারা লক্ষ্য করছেন। দেশের মূল্যবান কোনো দাবি আদায় করতে হলে ঐক্যবদ্ধ জনগণের শক্তিতে সেটা আদায় করা যায়।”

দেশের মানুষ ‘অসহায় বোধ করছে’ বলে এক্ষেত্রে সবাইকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানান কামাল।

তিনি বলেন, “আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। এই পরিবর্তনের জন্য আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করছি।

“আজকে ১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে, এদেশ আমাদের সকলেরই, কোনো ব্যক্তির না, কোনো দলের না, কোনো পরিবারের না। অতীতে যেমন আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রত্যেকবার সফল হয়েছে, এবারও ইনশাল্লাহ সফল হবে।”

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৯০ হাজারের বেশি মামলার সমালোচনা করেন গণফোরাম সভাপতি।

“হাজার হাজার গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমাদের দাবি ছিল, সকল রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মামলা-মোকাদ্দমা দেওয়া যাবে না। কাউকে তো মুক্তি দেওয়া হয়নি বরং উল্টো নতুন নতুন মামলা হচ্ছে।”

মানবন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মো. মনসুর, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন, জগলুল হায়দার আফ্রিক, নুরুল হুদা মিলু চৌধুরী, মোমেনা আহমেদ মম,  গণফোরামের আ ও ম শফিক উল্লাহ, মোশতাক আহমেদ, সাইদুর রহমান সাঈদ, রফিকুল ইসলাম প্রতীক, বিকল্পধারার শাহ আহমেদ বাদল, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, লেবার পার্টির হামদুল্লাহ আল মেহেদি, ন্যাপ ভাসানীর গোলাম মোস্তফা আখন্দ, ভাসানী ফাউন্ডেশনের সিদ্দিকুল ইসলাম, গণদলের গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দলের শামসুল আলম চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের শওকত আমীন প্রমুখ।