বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং আমান উল্লাহ আমান ও রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বুধবার হাই কোর্টে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের বেঞ্চ সাত বিএনপি নেতার জামিন মঞ্জুর করে।
বিএনপি নেতাদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির।
পরে জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, নিম্ন আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন জমা হওয়ার আগ পর্যন্ত বিএনপি নেতাদের জামিন দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ মঙ্গলবারই এ মামলায় হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন।
গত সোমবার হাতিরঝিল থানার এসআই শরিফুল ইসলামের দায়ের করা ওই মামলায় বিএনপির ৫৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করে এক দিনের রিমান্ডেও নিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দেন।
তাদের ওই বক্তব্যের পর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেদিন রাতে মগবাজার রেলগেইট এলাকায় যান চলাচলে বাধা দেয়, পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং যানবাহন ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
এ মামলার অন্যতম আসামি বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তাদের জনসভায় ‘বিপুল জনসমাগম দেখে’ ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকার পুলিশকে দিয়ে ওই মামলা করিয়েছে।
“দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের কাছে আষাঢ়ে গল্পের একটা ফরমেট সবসময়ই প্রস্তুত থাকে। মামলা দেওয়া ও গ্রেপ্তারে সেগুলো ব্যবহার করে থাকে। এবারো পুলিশ তাই করেছে।”
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতারা ‘নাশকতার ভয়াবহ ছক’ আঁকছেন খবর পেয়েই তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।