মামলার শুনানিতে এতো তাড়া কেন: ফখরুল

কারাবন্দি খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই একটি দুর্নীতি মামলার বিচার চালিয়ে যাওয়ার যে আদেশ আদালত দিয়েছে, তাকে ‘ন্যায়বিচারের পরিপন্থি’ বলছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2018, 10:15 AM
Updated : 21 Sept 2018, 11:30 AM

এক সপ্তাহে পরপর তিনদিন এ মামলার ‍শুনানির তারিখ রাখায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন রেখেছেন- শুনানি শেষ করার জন্য “এতো তাড়া কেন?”

শুক্রবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকারের তাড়া আমরা বুঝতে পারি, তারা চায় যত দ্রুত বেগম জিয়াকে আটকে রাখার ব্যবস্থা করা যায়। কিন্তু আদালতের কাছ থেকে এটা আমরা প্রত্যাশা করি না, জনগণও করে না।”

এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে ওই কারাগারের একটি কক্ষে বিশেষ জজ আদালতের বিশেষ এজলাস বসিয়ে।

পরপর তিন কার্যদিবস তাকে আদালতে হাজির করতে না পেরে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান বৃহস্পতিবার আসামির অনুপস্থিতিতেই যুক্তি-তর্ক ‍শুনানির আদেশ দেন। 

বিচারক বলেন, এক বছর ৯ মাস মামলাটি যুক্তিতর্কের পর্যায়ে থাকায় এবং আসামি  খালো জিয়া ‘ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতেহাজির না হওয়ায়’ ন্যায়বিচারের স্বার্থে তিনি এ সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন।

আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এ মামলার যুক্তিতর্কের শুনানি হবে বলে জানানো হয় আদালতের আদেশে।

শুক্রবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল আদালতের ওই আদেশকে ‘ন্যায়বিচার ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, “কারাগারের মধ্যে আদালত নিয়ে গিয়ে আজকে এই বেআইনি আদেশ দিয়ে মামলা পরিচালনা করা হচ্ছে। আমরা অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে, অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে এই আদেশ মেনে নিতে পারছি না, জনগণ তা গ্রহণ করছে না। আমরা মনে করি, এই আদেশ পরিবর্তন হওয়া উচিৎ।”

বর্তমানে বিচার ব্যবস্থা, বিশেষ করে নিম্ন আদালত ‘সম্পূর্ণভাবে সরকারের করায়ত্ব হতে চলেছে’ মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, এর ফলে দেশের মানুষ ‘ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত’ হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দেশনেত্রী অত্যন্ত অসুস্থ। বিচার বিভাগের কাছে আমরা আহ্বান জানাতে চাই, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবার জন্য এই ‍শুনানি বন্ধ করে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।“

অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল কাইয়ুম, অধ্যাপিকা সাহিদা রফিক, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।