বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশের পর দুপুর দেড়টার দিকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের একটি মিছিল আগারগাঁওয়ের ইসি কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করে।
মিছিলটি কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে পৌঁছালে পুলিশ তাদের পথরোধ করে। নেতাকর্মীরা বাধা উপেক্ষা করে সামনে এগোতে চাইলে পুলিশ লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
“পুলিশের হামলায় জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লুনা নূরসহ অনেকে আহত হন।”
এদের মধ্যে সাইফুল হককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে রতন জানান।
অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে ‘নিরপেক্ষ তদারকি সরকার’ গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবি উত্থাপন করে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছিল বাম গণতান্ত্রিক জোট।
আটটি বামপন্থি রাজনৈতিক দল মিলে গত ১৮ জুলাই ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’ যাত্রা শুরু করে।
সিপিবির নিন্দা
বাম গণতান্ত্রিক জোটের ইসি ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়েছে সিপিবি।
দলটির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম এক বিবৃতিতে বলেন, কারওয়ান বাজারে নারী পুলিশের অনুপস্থিতিতে নারীনেত্রীদের উপর পুলিশের পুরুষ সদস্যরা ‘ন্যক্কারজনক’ হামলা করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “গণবিরোধী সরকার জনরোষের ভয়ে ভীত হয়ে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পেটোয়া পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে সরকার জনগণের বিক্ষোভ দমন করতে চাইছে।”
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে সাতক্ষীরায় জোটের ৩ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সরকারকে হুঁশিয়ার করে বিবৃতিতে বলা হয়, “জনগণের ন্যায়সংগত দাবিকে অগ্রাহ্য করে, হামলা-নির্যাতন করে কোনোকালেই স্বৈরশাসকরা রেহাই পায়নি। বর্তমান সরকারও রেহাই পাবে না। জনগণের প্রবল আন্দোলনের কাছে এই সরকারকেও নতি স্বীকার করতে হবে।”