মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সোহেলকে আটক করে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন।
ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সোহেল বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিবের পদেও রয়েছেন।
রিজভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা সংবাদ পেয়েছি যে, হাবিব-উন নবী সোহেলকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে। সে এখন গুলশান থানায় আছে।”
ডিএমপির উপ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশ গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।”
সোহেলের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাকে খুঁজছিল পুলিশ। শান্তিনগরে তার বাড়িতে একাধিকবার পুলিশ তল্লাশিও চালায়।
সোহেলকে গত ১ সেপ্টেম্বর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় দেখা গিয়েছিল।
সোহেলকে আটকের পর বিএনপি নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘ভোটারশূন্য নির্বাচন করতেই’ সরকার সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে।
“সোহেল ঢাকা মহানগরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাকে গ্রেপ্তার করে রাখলে সরকারের টেনশন দূর হয়। কারণ তারা ভোটারশূন্য একটা নির্বাচন করতে চায়। তো সেই নির্বাচন করলে সোহেলের মতো নেতৃত্বকে বাধা মনে করছে। এই মনে করেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং তাকে আজকে গ্রেপ্তার করে বন্দি করা হয়েছে।”
সোহেলের বিরুদ্ধে মামলাগুলো রাজনতিক প্রতিহিংসামূলক দাবি করে রিজভী বলেন, “তার স্ত্রী আমাকে জানিয়েছে, প্রায় সাড়ে ৪শ থেকে ৫শ‘র মতো মামলা ইতোমধ্যে দায়ের করা হয়েছে। সে দৃপ্ত কণ্ঠে বক্তব্য রাখেন অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, এটাই তার অন্যায়।”
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম, তাইফুল ইসলাম টিপু, আবেদ রাজা, সাইফুল ইসলাম পটু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোর্শেদ আলম, ছাত্রদলের আব্বাস আলী উপস্থিত ছিলেন।