জাতিসংঘ মহাসচিবের নামেও প্রতারণা বিএনপির: কাদের

জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা বলে বিএনপি দেশবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2018, 04:22 PM
Updated : 17 Sept 2018, 04:22 PM

যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে জাতিসংঘের একজন সহকারী মহাসচিবের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব দেখা করে দেশে ফেরার পরদিন সোমবার ধানমণ্ডিতে দলের কার্যালয়ে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।  

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এই সফরের বিষয়ে বিএনপি দাবি করেছে, তারা জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন।

কাদের বলেন, “জাতিসংঘের মহাসচিব বিএনপির মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে তারা প্রচার করেছে; জাতিসংঘের সদর দপ্তর নিয়ে এ ধরনের ভাঁওতা ও প্রতারণা যারা জাতির সঙ্গে করে, তাদের নিয়ে কী বলব! কী বলব তাদের!

“কোনো আমন্ত্রণ তো নাই, যখন ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিউ ইয়র্কে গেলেন, তখন জাতিসংঘের মহাসচিব ঘানায় একটা প্রোগ্রামে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। যিনি দাওয়াত দিলেন, তিনি ঘানা চলে গেলেন!”

কাদের বলেন, “আমরা যেটা শুনেছি, জাতিসংঘের সদর দপ্তরে গেইট থেকে বারে বারে অনুরোধ করেছে তারা (বিএনপি)। তাদের বক্তব্য ছিল, যে পর্যায়েই হোক দেখা করিয়ে দিতে। পরে একজন অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি বিরক্ত হয়ে কিছুটা সময় দিয়েছে।”

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক এটা তারা চায়। এই কথা তো তারা বলেই আসছে।

“এই কথার জন্য তো ফখরুল ইসলামের নিউ ইয়র্কে যাওয়ার কথা ছিল না, জাতিসংঘের সদর দপ্তরে যাওয়ার কথা ছিল না। এটার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করে স্টেট ডিপার্টমেন্টেও যোগাযোগ করেছেন, কোথাও কোনো আমন্ত্রণ তাদের করেনি।”

নির্বাচনের আগে দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে কাদের বলেন, “২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের মতো পেট্রোল বোমার আন্দোলন কি বিএনপি শুরু করবে?

“সেই আন্দোলন যদি তারা করতে যায়, সে ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে যায়, তাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যা যা করণীয়, সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।”

নির্বাচনকে সামনে রেখে কামাল হোসেন, এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর একজোট হওয়ার প্রসঙ্গে কাদের আবারও বলেন, “এটা গণতন্ত্রের ‘বিউটি’।

“কামাল সাহেব বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে তারা নেই। কাদের সিদ্দিকীও বলেছেন একই কথা। এখন নির্বাচনী মেরুকরণে কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে গড়ায়, এটা এই মুহূর্তে বলা খুব মুশকিল।”

তাদের ‘জাতীয় ঐক্য’ গড়ার প্রতিক্রিয়ায় কাদের বলেন, “যারা নিজেদের ঘরের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ নয়, তারা দেশের মধ্যে কীভাবে ঐক্য গড়বেন? এটা একটা প্রশ্ন চিহ্ন রয়ে যায়। তারা নিজেরাই নিজেদের ঘরের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ নয় তারা নিজেরা একে অন্যকে সরকারের দালাল বলে, নিজেদের অফিসে তাদের নিজেদের মধ্যে অনেক সময়ই ঝগড়া-বিবাদে লেগে থাকে।

“বাংলাদেশের সব চাইতে প্রাচীন দল, সবচাইতে জনপ্রিয় দল আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য হবে কেমন করে? সেটা হতে পারে তাদের নিজেদের তথাকথিত জাতীয়তাবাদী জাতীয় ঐক্য।”