শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশায় রাজনৈতিক দলগুলোর তৃণমূল পর্যায়ের কয়েকশ নেতা-কর্মীকে নিয়ে সোমবার ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত ‘শান্তিতে বিজয়’ শীর্ষক প্রচার কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তারা এই প্রত্যাশা প্রকাশ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট নির্বাচনের আগে, নির্বাচন চলাকালে বা পরে সহিংসতা এড়াতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “সহিংসতা শুধু তাদেরই কাজে আসে, যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও বাংলাদেশের নাগরিকদের স্বার্থহানি করতে চায়।”
যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার অ্যালিসন ব্লেইক বলেন, “গণতন্ত্রকে অংশগ্রহণমূলক করতে পারলে দেশের প্রান্তিক মানুষের উপকারে আসে। আর অশান্তি সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর।
“এদেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ নির্বাচন চায়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে।”
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোটের ফল মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান বার্নিকাট।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতবিরোধে দশম সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে সহিংসতায় শতাধিক মানুষ মারা যায়।
ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের এই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মইন খানের কথায়ও নিজেদের দলীয় বিরোধ প্রকাশিত হয়।
এইচ টি ইমাম আগামী নির্বাচনও শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্য ‘মিথ্যা’ প্রচার বন্ধ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “আমরা আক্রান্ত হয়েছি, কিন্তু পাল্টা আক্রমণ করিনি।”
মঈন খান আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইঙ্গিত করেই বলেন, “নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।”
বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযোগ করে আসছে। তারা বলছে, এই অবস্থায় নির্বাচন হলে সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, “সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তির জন্য নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় পরিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের স্বাধীনতা থাকা উচিত।
“রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী-সমর্থকদের অবশ্যই নিজেদের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ, প্রচার চালানো এবং ভয়ভীতি, প্রতিশোধ বা জবরদস্তিমূলক বিধি-নিষেধ ছাড়া শান্তিপূর্ণ সভাসমাবেশ করার স্বাধীনতা থাকতে হবে।”