শুক্রবার ওয়াশিংটন সময় সকালে ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ডেস্কের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন ফখরুল।
খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে আওয়ামী লীগ সরকারের উপর চাপ বাড়াতেই বিএনপি মহাসচিবের এই সফর।
বৈঠকে তিনি কী বলেছেন, সে বিষয়ে ফখরুল কিছু বলেননি। ঢাকায় বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ বলেছেন, দেশের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরতেই এই সফরে গেছেন মহাসচিব।
বৈঠকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়, এটা তারই একটি অংশ।
বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সংস্থার সহকারী মহাসচিব মিরোস্লাভ জেনকার সঙ্গে বৈঠক করে ওয়াশিংটন রওনা হন ফখরুল। শুক্রবার পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈঠকের পর বিকালেই ওয়াশিংটন ছাড়েন তিনি।
তার আগে সফর সঙ্গী তাবিথ আউয়াল ও হুমায়ূন কবিরকে নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিএনপি আয়োজিত একটি প্রাতরাশ অনুষ্ঠানে যোগ দেন ফখরুল। এই অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুকও ছিলেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসা ওসমান ফারুককে এই প্রথম দলের কোনো নেতার সঙ্গে দেখা গেল।
দেশে নির্বাচন নিয়ে নিজেদের দাবি এবং খালেদা জিয়া মুক্তি আদায়ে ব্যর্থ বিএনপি সরকারকে চাপে রাখতে নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে; ফখরুলের এই সফর তারই অংশ।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যে বলেছেন, চাপ দিয়েও সংবিধান বহির্ভূত কিছু সরকারকে দিয়ে করানো যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান দাবি করেছেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে বিএনপির এই তৎপরতা ‘দেশের বিরুদ্ধে’।
যুক্তরাষ্ট্রে এসব বৈঠক আয়োজনে বিএনপি একটি ‘লবিস্ট’ ফার্ম ভাড়া করেছে বলে ইতোমধ্যে খবর প্রকাশ পেয়েছে। তাদের ভাড়া করার অর্থের উৎস নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কাদের।