খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে কর্মসূচির পর বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের নজির দেখিয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এর আগে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি পালনের অনুমতি পেতে বিএনপি ঝামেলা পোহাতে হলেও খালেদার মুক্তি দাবিতে সোমবার মানববন্ধন এবং বুধবার প্রতীকী অনশন পালনে পুলিশ কোনো বাধা দেয়নি।
তবে সোমবার মানববন্ধনের পর তিন শতাধিক এবং বুধবার প্রতীকী অনশনের পর দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলে বিএনপির দাবি।
দুপুরে অনশন কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর বিকালে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, “কর্মসূচির মৌখিক অনুমতি দেওয়ার পর নির্বিচারে গ্রেপ্তারে সরকার এক নতুন স্ট্র্যাটেজি অবলম্বন করেছে।
“অর্থাৎ অনুমতির কথা শুনে নেতা-কর্মীরা নির্দিষ্ট সময়ে কর্মসূচির জন্য এক জায়গায় জড়ো হবে, আর সেই সুযোগে পুলিশ অনায়াসেই তাদেরকে ধরতে পারবে।”
এভাবে কর্মসূচি থেকে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে তাদের মুক্তি দাবি করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
ঢাকা মহানগর, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, নরসিংদী, রাজশাহী, বগুড়া, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রংপুর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, গাজীপুরে কর্মসূচি থেকে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের একটি তালিকাও দেওয়া হয়।
রিজভী বলেন, “ঢাকায় অনশন শুরুর আগে সকাল থেকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদের বনানীর বাসা পুলিশ ঘেরাও করে রাখে।
“আমরা বলতে চাই, এভাবে পুলিশি গ্রেপ্তারের এই অবাধ কর্মকাণ্ডে জনগণের পুঞ্জিভূত নীরব ক্ষোভ প্রশমিত হবে না, বরং তা আগ্নেয়গিরির মতো উদগিরণ হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে রিজভীর সঙ্গে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, শামসুজ্জামান সুরুজ উপস্থিত ছিলেন।