পদত্যাগ কি ‘মামার বাড়ির আবদার’: কাদের

বিএনপি যত চেষ্টাই করুক, সরকারকে সংবিধান বহির্ভূত কোনো দাবি মানাতে পারবে না বলে জানিয়ে দিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2018, 11:56 AM
Updated : 12 Sept 2018, 01:45 PM

তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে, এটা কি মামা বাড়ির আবদার! তাহলে কাকে বসাব? দেশের দায়িত্বে কি ফখরুল সাহেব বসবে?

“সংবিধান থাকবে না দেশে? নিয়ম-কানুন থাকবে না দেশে? পৃথিবীর  অন্যান্য দেশে নির্বাচন যেভাবে হয়, বাংলাদেশেও নির্বাচন একইভাবে হবে। আমরা সংবিধানের বাইরে যাব না।”

খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের দাবিতে সারাদেশে বুধবার বিএনপির কর্মসূচি পালনের মধ্যে ঢাকার দক্ষিণের নগর ভবনে এক সভার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন কাদের।

বিএনপি নির্বাচনকালে নির্দলীয় সরকার গঠনের পাশাপাশি সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি তুলেছে, যা বাস্তবায়ন করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।

এসব দাবিতে সরকারের কাছ থেকে সাড়া না পাওয়ার বিষয়টি কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরে আসছেন বিএনপি নেতারা। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে নিউ ইয়র্ক রওনা হয়েছেন।

কাদের বলেন, “তারা তো জাতিসংঘে অবিরাম অভিযোগ দিয়েই যাচ্ছে। দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে, নালিশ করছে। জাতিসংঘ কাউকে ডাকলে যাবে। কোনো সমস্যা থাকলে জাতিসংঘ জানতে পারে, কিন্তু আমাদের সিদ্ধান্ত আমরাই নেব। সংবিধান বহির্ভূত কোনো প্রেসারের কাছে আমরা নতি স্বীকার করব না।”

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই বলে আবারও জানান মন্ত্রী কাদের।

তার মুক্তি আটকাতে সরকার সক্রিয় বলে বিএনপির অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, “আদালতে ইতোপূর্বে অন্তত ৩০টি মামলায় জামিন দিয়েছে। আদালতে সরকার হস্তক্ষেপ করলে তিনি এত বার জামিন পেলেন কেমন করে?”

মামলা দীর্ঘায়িত করার জন্য বিএনপির আইনজীবীদের দায়ী করে কাদের বলেন, “তার মুক্তির জন্য এত আগ্রহ, এত সিরিয়াসনেস, তাহলে ১০ বছর কেন একটি মামলাকে প্রলম্বিত করেছেন? এই মামলাটি তো অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত। এখন নির্বাচনের সময় পর্যন্ত গড়াত না। তিনি ১৫৪ দিন অনুপস্থিত থাকবেন, এই দায়িত্ব কে নেবে?”

নির্বাচনের সময়ে সংসদের কার্যপদ্ধতি নিয়ে কাদের বলেন, “সংসদের এই অধিবেশনের পরে আরেকটি অধিবেশন হবে, সম্ভবত অক্টোবরের মাঝামাঝি শেষ হবে। এর পর আর সংসদ বসবে না। পরবর্তী অধিবেশনই শেষ অধিবেশন।

“এরপর মন্ত্রীরা রুটিন ওয়ার্ক করবে, এমপিদের কোনো পাওয়ার থাকবে না। সংসদ আনু্ষ্ঠানিকভাবে ভাঙাও হবে না, সংসদের কোনো কার্যক্রমও থাকবে না। নির্বাচনকালীন সময়ে সংসদ বসবেও না।”