সাংসদসহ আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকে শোকজ

অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে সংসদ সদস্যসহ দলের ১৩ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2018, 08:55 AM
Updated : 11 Sept 2018, 09:00 AM

সোমবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দুই বিষয়ে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের এক সাংগঠনিক সম্পাদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দলীয় নেতাদের সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে ১০ জনকে শোকজ ও তিন জনের কাছে লিখিত জবাব জানতে চেয়েছে সাধারণ সম্পাদক।

এবিষয়ে মঙ্গলবার ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, “ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি, যারা এমপিদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে, তাদের কড়া ভাষায় শোকজ করা হয়েছে। আবার যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের বলা হয়েছে দলীয় নেতা-কর্মীদের এত ক্ষোভ কেন। দুই পক্ষকেই চিঠি দেওয়া হয়েছে।

“আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে হবে। সব দিক বিবেচনা করেই এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় কোন্দলের কারণে মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের পরাজয়ের জন্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দীন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেলকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। 

অপর দিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েও সর্বশেষ সিটি নির্বাচনে সাতটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তা জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বদরউদ্দিন আহমেদ কামরানকে।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জের সাংসদ মনোরঞ্জন শীল গোপালকে নিজ সংসদীয় এলাকায় অবাঞ্ছিত করার কারণে বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া জাকা, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট হামিদুল ইসলামকে কারণ দর্শানো হয়েছে। 

অপরদিকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা কেন বিরুদ্ধে গিয়েছে তার জবাব চাওয়া হয়েছে সাংসদ গোপালের কাছে।

রাজশাহীতে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুমকে কারণ দর্শানোর নোটিস এবং পরিস্থিতির ব্যাখ্যা চেয়ে তাদেরকে লিখিত জবাব দিতে বলেছে কেন্দ্র।

বরগুনা-১ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সঙ্গে বিরোধের কারণে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টিপু এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি কেন সৃষ্টি হয়েছে তা জানতে চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে এমপি শম্ভুকে।

গত বৃহস্পতিবার গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব নোটিস ও চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।