সোমবার পূর্ব নির্ধারিত সময়ে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে এ আবেদন জানান বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।
এর আগে গত ২৮ অগাস্ট ঈদের ছুটির কারণে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রস্তুতি নিতে না পারার কারণ দেখিয়ে দুদকের তলবে উপস্থিত হতে এক মাসের সময় চেয়েছেলেন আমীর খসরু।
এরপর বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে ১০ সেপ্টেম্বর হাজির হতে দ্বিতীয়বার নোটিস দেয় দুদক। এর মধ্যে হাই কোর্টে যান তিনি।
গত ৫ সেপ্টেম্বর রিট আবেদনটি শুনানির জন্য হাই কোর্টের একটি বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসে, পরে এটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে অন্য আদালতে শুনানির জন্য আদেশ দেয় ওই বেঞ্চ।
সোমবার দুদকে দেওয়া আবেদনে তিনি বলেন, তার আবেদনটি বর্তমানে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাই কোর্টে বেঞ্চে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে।
আমীর খসরু বলেন, “আদালত থেকে আইনগতভাবে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমার বিরুদ্ধে কোনোরূপ পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।”
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রিটের শুনানি করতে হাই কোর্টে এক দিনের জন্য সময় চেয়েছিলাম, সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ‘নট টু ডে’ দিয়েছে।”
দুদক কর্মকর্তা প্রনব কুমার বলেন, “যেহেতু হাই কোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে বলে কমিশনে আবেদন জানানো হয়েছে, তাই অনুসন্ধান কর্মকর্তা আইন অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।”
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরুর বিরুদ্ধে ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনসহ বিভিন্ন দেশে মুদ্রা পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে গত ১৬ অগাস্ট নোটিস দেয় দুদক।
দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের সই করা এ নোটিসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে সেগুন বাগিচায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে আরও মানুষ নামাতে ‘আমীর খসরুর’ একটি ফোনালাপ সম্প্রতি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।
তা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা দাবি তোলার পর এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলাও হয়।
ওই ঘটনার পর আমীর খসরু ওই ফোনালাপের কণ্ঠ তার নয় বলে দাবি করেন। মামলা হওয়ার পর বেশ কিছু দিন তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। পরে তিনি ওই মামলায় জামিন নেন। এর মধ্যেই দুদক তাকে নিয়ে তদন্তে নামে।
তার বিরুদ্ধে দুদকে আসা অভিযোগে বলা হয়, তিনি বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার এবং নিজ, স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যের নামে শেয়ার ক্রয়সহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।