শুক্রবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ের নতুন ভবনে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “সর্বপ্রথম কারাগারে আদালত বসিয়েছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। সে সময় ওই আদালতে কর্নেল তাহেরের ফাঁসি দিয়েছিল। বেগম জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিল তখন এরশাদ সাহেবের জন্য কারাগারে আদালত বসানো হয়েছিল। এখন বেগম খালেদা জিয়ার সুবিধার্থে কারাগারে আদালত বসানো হচ্ছে।
“কারণ বার বার মামলার তারিখ পড়ার পরও অসুস্থতার কথা বলে তিনি কারাগারের বাইরে যেতে অপারগতা জানান এবং গত ৬ মাস ধরে তিনি একদিনও আদালতে হাজির হননি। তাই তার সুবিধার্থে কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে।”
গত বুধবার পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বিশেষ এজলাসে খালেদা জিয়া নিজের অসুস্থতার কথা তুলে ধরে বিচারকের উদ্দেশে বলেছিলেন, “আপনার যতদিন ইচ্ছা সাজা দিন, আমি এ অবস্থায় বারবার আসতে পারব না।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “কারাগারে খালেদা জিয়া এমন বক্তব্য দিয়ে দেশের আইন ও আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন।”
আদালতকে বন্দি করা হয়েছে বলে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “প্রকৃতপক্ষে আদালতকে বেগম জিয়া, বিএনপি এবং বিএনপির আইনজীবী হেনস্তা করছে। সুতরাং বিএনপি এ সমস্ত বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে।”
প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির বৈঠক উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য শাহ মোস্তফা আলমগীর।