খালেদার শাস্তি ছাড়া ২১ অগাস্ট হামলার বিচার সম্পূর্ণ হবে না: হাছান

তারেক রহমানের পাশাপাশি একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তৎকালীন সরকার প্রধান হিসেবে খালেদা জিয়ারও  দায় রয়েছে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2018, 12:14 PM
Updated : 20 August 2018, 12:14 PM

খালেদা জিয়ার বিচার দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেছেন,  তার শাস্তি ছাড়া ২১ অগাস্ট হামলার বিচার সম্পূর্ণ হবে না।

২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল।

এই মামলার বিচার শেষের পথে। খালেদার ছেলে তারেক রহমান মামলার অন্যতম প্রধান আসামি।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'নৃশংস ২১ অগাস্ট স্মরণে' শীর্ষক আলোচনা সভায় হাছান মাহমুদ বলেন, “আজকে যদি বিচার হয়, আমি মনে করি শুধু তারেক রহমানের বিচার হলেই এ বিচার সম্পূর্ণ হবে না, এই বিচারের আওতায় খালেদা জিয়াকেও আনা দরকার, যেহেতু তিনি সরকার প্রধান ছিলেন, তিনি দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।

“আমি মনে করি এই মামলায় বিচারের শাস্তির আওতায় যদি বেগম খালেদা জিয়া না আসে, তাহলে এই বিচার সম্পূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করব না। বেগম খালেদা জিয়াকে এই হত্যা মামলার বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন।”

এহামলার সাক্ষী হাছান মাহমুদ বলেন, “সাক্ষ্য দিতে গিয়ে দেখেছি, জবানবন্দিতে আসামিরা স্বীকার করেছে যে, কোথায় বৈঠক হয়েছে, সেই বৈঠকে তারেক রহমান ছিল, লুৎফুজ্জামান বাবর ছিল এবং উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ছিল, তারা বসে এই পরিকল্পনা করেছে।

“গ্রেনেড সরবরাহকারী যে সে এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন। এই দলটি হচ্ছে একটি সন্ত্রাসী দল, এই দলের নেতারা হচ্ছেন সন্ত্রাসী, দলের চেয়ারপারসন হচ্ছেন সন্ত্রাসী, খুনি।”

হামলার সময় সমাবেশে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার বলেন, "সেদিন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হাওয়া ভবন থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়। শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করাই ছিল হামলার উদ্দেশ্য।”

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সভায় সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও  সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা সভার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাসসহ আরও অনেকে।