ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনকে আরও এক মাস সময়

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় দলিল জমা দিতে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুযোগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2018, 02:05 PM
Updated : 19 August 2018, 02:05 PM

রোববার এ বিষয়ে শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলে দলটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ পিন্টু জানান।

ইসির চাহিদ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ প্রতিবেদন দেওয়া এবং নিবন্ধনের শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় গত জুনে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল করা হয়।

তবে দলটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য রোববার তাদের বক্তব্য শুনেছে ইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম, ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন এ শুনানিতে।

আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ঐক্যবদ্ধ নাগরকি আন্দোলনরে পক্ষে সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শুনানিতে অংশ নেয়।

আব্দুস সামাদ পিন্টু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুনানিতে কমিশন আমাদরে মাঠ পর্যায়ের সাংগঠনকি অবস্থার খোঁজ নিয়েছে। যথাসময়ে কাগজপত্র জমা দিতে পারিনি। ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য।”

নির্ধারিত সময়ে চাহিদা মতো কাগজপত্র পেলে পরই যাচাই-বাছাই করে ইসি সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানান তিনি।

পিন্টু বলেন, “আমাদের দলের নিবন্ধন তো পুরোপুরি বাতিল হয়নি। শুনানিতে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি। এখন কাগজপত্র দেখিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারলে নিবন্ধন বহাল থাকবে আশা করি।

নিবন্ধন কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুনানিতে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দলটিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। তা কমিশন পাওয়ার পরই করণীয় নির্ধারণ হবে।”

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৮ সালের ৮ অক্টোবর প্রশিকার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কাজী ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে 'ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন’ এর আত্মপ্রকাশ ঘটে।

২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চালুর পর ২০০৯ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের পরে ফ্রিডম পার্টি, দশম সংসদের আগে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয়।