অবরুদ্ধ করে মওদুদের গুরুত্ব কেন বাড়াব: কাদের

বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদকে তার নোয়াখালীর বাড়িতে ‘অবরুদ্ধ’ করে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটা ‘নাটক’ ছাড়া আর কিছু না। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2018, 12:19 PM
Updated : 19 August 2018, 12:19 PM

রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, “এলাকায় তার (মওদুদ) সেই অবস্থা নেই, অযথা তার গুরুত্ব আমি কেন বাড়াব? মওদুদ আহমদের সেই গুরুত্ব নেই। এলাকায় প্রতিনিধিদের দিয়ে খবর নিন।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতা মওদুদ আহমদকে পুলিশ তার কোম্পানিগঞ্জের বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে শুক্রবার নোয়াখালী জেলা বিএনপির এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তোলা হয়।

পরদিন নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দিকে ইংগিত করে রিজভী বলেন, “জনগণের ভোটে ওবায়দুল কাদের সাহেব জিততে পারবেন না। কারণ ক্ষমতার প্রতি তীব্র আবেগ তার বিবেক বিবশ করে দিয়েছে। সেজন্য মওদুদ আহমদকে নিজ বাড়িতে পুলিশকে দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ওবায়দুল কাদের, যেন এলাকাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীরা কেউ তার সাথে দেখা করতে না পারে।”

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের রোববার ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে গেলে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।

অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তার (মওদুদ) বাড়ির সামনে কোনো ধরনের অবরুদ্ধ সে না। বিএনপির লোকও নাই, আওয়ামী লীগের লোকও নাই। মওদুদ আহমদের এটাই হচ্ছে অভ্যাস।”

মওদুদকে ‘কোটা আন্দোলনের নেপথ্যের কুশিলবদের মধ্যে প্রধান ব্যক্তি’ আখ্যায়িত করে কাদের বলেন, “আন্দোলনে তিনি ফেল করে ঈদে বাড়ি গিয়ে একটা নাটক করেছেন, এটা অবরুদ্ধ হওয়ার একটা নাটক। অবরুদ্ধ তাকে কেউ করেনি।”

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও কবিরহাট উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের নোয়াখালী-৫ আসনটি ওবায়দুল কাদের ও মওদুদ আহমদ দুজনেরই নির্বাচনী এলাকা। ২০১৪ সালে বিএনপিহীন নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে কাদের এখন এ আসনের এমপি।

তার আগে ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিটি নির্বাচনেই ভোটের মাঠে মুখোমুখি হয়েছেন এ দুই নেতা। তখন থেকে ২০০৮ পর্যন্ত তারা দুজনেই দুইবার করে এ আসন থেকে সংসদে গেছেন।  

কাদের বলেন, “সে (মওদুদ) গেছে একটা ইস্যু তৈরি করার জন্য। কোনও দিনও ঈদের আগে বাড়ি যাননি। এবার গেছে। রোজার ঈদেও গেছে, এই ঈদেও গেছে। তার উদ্দেশ্য হল অবরোধের একটা নাটক তৈরি করা …। তার বাড়ির সামনে কোনও পুলিশ নেই। এটা মিথ্যাচারের একটা নাটক।”

আগামী নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ‘অজুহাত খুঁজতে পারে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি ২০১৪ সালের মত আবারও নির্বাচন ঘিরে ‘ভয়ঙ্কর সহিংস পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা’ করছে অভিযোগ করে কাদের বলেন, তেমন কিছু ঘটলে জনগণ তা প্রতিহত করবে।