বৃহস্পতিবার ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় একথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে যে খুনি অবস্থান করছে, তাকে সরানোর জন্য ট্রাম্প প্রশাসন সবুজ সংকেত দিয়েছে। কানাডায় মৃত্যুদণ্ড না থাকায় আইনি জটিলতার কারণে এই মুহূর্তে আনা যাচ্ছে না।
“আরেক দেশে থাকা বঙ্গবন্ধুর এক খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে অগ্রগতি নব্বই ভাগ সফল। আমাদের কূটনৈতিক উদ্যোগ সফল হতে যাচ্ছে।”
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয় ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি। বাকিদের একজন মারা গেলেও রাশেদ চৌধুরীসহ অন্যরা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছেন।
পঁচাত্তরে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া নূর চৌধুরী কানাডার টরন্টোতে রয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে বিচারে ফাঁসির রায় হয়।
শোক দিবসের আলোচনা সভায় বাংলাদেশে পুনরায় এক-এগারোর ষড়যন্ত্রের ‘গন্ধ’ পাওয়া যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
“আবারও বাংলাদেশে এক-এগারোর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। যারা রাজনৈতিক বিরাজনীতিকরণ করতে চেয়েছিল, তাদের সহযোগী ছিল মিডিয়ার একটি অংশ। সেই মিডিয়া, একটি দলের উস্কানিতে শেখ হাসিনা সরকার হটানোর ষড়যন্তে নেমেছে। তারাই অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “তারাই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আক্রান্তদের আক্রমণকারী হিসেবে উপস্থাপন করেছে, এমনকি আমাদের দলের যার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, তাকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী হিসেবে উপস্থাপন করে সংবাদ প্রচার করেছে।”
খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, “আমাদের দেশের রাজনীতির কারও কারও আচরণ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের চেয়েও নৃশংস।
“এখানেই আমাদের প্রশ্ন রাখা উচিত; স্কুলে, বিবাহে, পাসপোর্টসহ মোট পাঁচটি জন্ম দিবস। এখন তারা জন্মদিন পালন করছে, ফরমেট চেইঞ্জ করে। তাদের আমরা ঘৃণা করি, ধিক্কার জানাই।”
কাদের বলেন, “ভুয়া জন্মদিন পালন করা একটা পাপ, একটা অপরাধ। বাংলাদেশে এই ধরনের নোংরা দৃষ্টান্ত যারা স্থাপন করেছে তারাই আজ অগণতান্ত্রিক ভাবে সরকার হটানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।”
ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তাসলিমা আক্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক সামসুন্নাহার চাপা, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আত্তার পপি, ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন।
আরও খবর