খালেদার জন্মদিনে শুধু দোয়ার আয়োজন

কারাগারে থাকায় এবার খালেদা জিয়ার জন্মদিনে দোয়া মাহফিল ছাড়া অন্য কোনো কর্মসূচি রাখেনি বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 August 2018, 02:28 PM
Updated : 14 August 2018, 02:28 PM

ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা-উপজেলায় দলের চেয়ারপারসনের দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল করবেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশনেত্রীর জন্মদিনে তার দীর্ঘায়ু ও রোগমুক্তি কামনায় ঢাকাসহ সারাদেশে দোয়া মাহফিল হবে। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হবে সকাল ১১টায় এবং গুলশানের কার্যালয়ে বাদ মাগরিব।”

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজার পর পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

বিএনপির ওয়েব সাইটের ভাষ্য অনুযায়ী, খালেদা জিয়া মঙ্গলবার ৭৪ বছরে পা রাখছেন। ১৯৪৫ সালের ১৫ অগাস্ট দিনাজপুরে খালেদা জিয়ার জন্ম।  

২০১৫ সালে জন্মদিন উদযাপন করলেও পরের বছর বন্যা, গুলশান হামলা, গুম-খুনকে কারণ দেখিয়ে কেক কাটার কর্মসূচি বাতিল করেছিলেন খালেদা। আর গত বছর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে থাকায় খালেদার জন্মদিনে কোনো কর্মসূচি রাখা হয়নি।

গত দুই যুগ ধরে ১৫ অগাস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন হলেও তার আরও কয়েকটি জন্মদিনের হদিস পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিনে তার জন্মদিন উদযাপনের সমালোচনা রয়েছে।

বাংলা পিডিয়াসহ খালেদা জিয়ার জীবনীর ওপর রচিত কয়েকটি গ্রন্থে তার জন্ম বছর ১৯৪৫ সালের ১৫ অগাস্ট দেখানো হয়েছে।

খালেদার বাবা এস্কান্দার মজুমদারের বাড়ি ফেনী হলেও তিনি দিনাজপুরে ঠিকানা নিয়েছিলেন। খালেদার জন্মও সেখানে। তার মায়ের নাম তৈয়বা মজুমদার।

সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ১৯৬০ সালে খালেদার বিয়ে হয়। পঁচাত্তরে পটপরিবর্তনের পর প্রথমে সামরিক আইন প্রশাসক এবং পরে রাষ্ট্রপতি হন জিয়া।

১৯৮১ সালে ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় জিয়া নিহত হলে রাজনীতিতে পা রাখেন খালেদা। প্রথমে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এবং তিন বছর পর চেয়ারপারসন হন তিনি।

এরশাদবিরোধী আন্দোলনে খালেদা জিয়া বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেওয়া দল’ বিএনপির জনভিত্তি তৈরি করে দেন খালেদাই।

১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হলে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের পর কয়েক দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট জয়ী হলে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের নির্বাচনে হারের পর সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর এখন সংসদের বাইরে থাকলেও রাজনীতিতে তার গুরুত্ব কমতে দেখা যায়নি।