নজরুল বলেন, “একটা গণতান্ত্রিক দল বা জোট হিসেবে আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার হাত বদল চাই। কিন্তু নির্বাচনের নামে কোনো খেলায় আমরা যোগ দিতে চাই না।”
দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি বলে আসছে, ‘ভোটারবিহীন’ ওই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ধরে রাখার পর একাদশ সংসদ নির্বাচনও সেভাবে করতে চাইছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সর্বাগ্রে জানিয়ে নজরুল বলেন, “আমাদের বেসিক দাবি- সংসদ ভেঙে দিতে হবে, সরকারকে নিরপেক্ষ বানাইতে হবে। আমরা প্রশাসনের নিরপেক্ষতা চাই, আমরা নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ চাই এবং আমরা সমস্ত রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তি চাই।”
বিএনপি ‘গণতন্ত্রের জন্য’ ছাড় দিতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
নজরুল বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের একটা পূর্বশর্ত হল লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। বাংলাদেশে মূলত প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার বা সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হলেন দুজন বেগম খালেদা জিয়া আর শেখ হাসিনা।
“একজন ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করবেন, আরেকজন জেল খানায় থাকবেন- এটা কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয়?”
বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ‘ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলন’ গড়ে তোলার আহ্বানও জানান নজরুল।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ নামে সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, দলের নেত্রী মেহেরুননেসা হকসহ অন্যদের মুক্তির দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিকুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও মো. সেলিম মিঞার পরিচালনায় আলোচনা সভায় ২০ দলীয় জোটের শরিক ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, আবদুল আউয়াল খান, কেন্দ্রীয় নেতা আলমগীর হোসেন, হায়দার আলী লেলিন, আরিফা সুলতানা রুমা, মিয়া মো. আনোয়ার বক্তব্য রাখেন।