৩০০ আসনে প্রার্থী যাচাইয়ে জাতীয় পার্টি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিতে জাতীয় পার্টি কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 August 2018, 11:50 AM
Updated : 9 August 2018, 12:11 PM

বৃহস্পতিবার ঢাকার বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বরিশাল ও পিরোজপুর জেলার জাতীয় পার্টির (জেপি-মঞ্জু) থেকে নেতাদের জাতীয় পার্টিতে (এরশাদ) যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় একথা জানান তিনি।

এই সভায় জেপি-মঞ্জু’র সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।

বিভিন্ন দলের নেতাদের জাতীয় পার্টিতে যোগদানকে স্বাগত জানিয়ে হাওলাদার জানান, কোরবানির ঈদের পর ‘বড় একটি’ ইসলামী দল যোগ দেবে জাতীয় পার্টির সঙ্গে।

তিনি বলেন, নির্বাচনী এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা, তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে শীর্ষ নেতাদের পরামর্শে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ৩০০ আসনে দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন।

এ লক্ষ্যে ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় দলের এক কাউন্সিল আয়োজন করা হবে জানিয়ে হাওলাদার বলেন, “যার নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা যত বেশি, তার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি।”

বিএনপিবিহীন দশম সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদ এর আগে বলেছিলেন, ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি রাখলেও তারা নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেবে, না কি জোটগতভাবে নেবে, তা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।

তার ইঙ্গিত, আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে বিএনপি এলে জাতীয় পার্টি আগের মতো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটে ভিড়বে, আর বিএনপি না এলে আলাদাভাবে নির্বাচন করবে।

২০১৭ সালের মে মাসে ইসলামিক ফ্রন্ট, জাতীয় ইসলামিক মহাজোট, বাংলাদেশ জাতীয় জোট নিয়ে এরশাদ গড়ে তোলেন ‘সম্মিলিত জাতীয় জোট’। হাওলাদার এই জোটের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই জোটের নেতাদের তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সংগঠিত করার  নির্দেশনা আসে বৃহস্পতিবারের সভা থেকে।

হাওলাদার বলেন, “এরশাদের ৯ বছরের শাসনামল নিরাপদ ও উন্নয়নের ছিল- এ কথা দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে।”

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ের সমালোচনা করে জাপা মহাসচিব বলেন, “দুটি দলের ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে দেশ ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। দেশের মানুষ এখন শান্তি চায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তারা চায় একটি জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হোক। সব সংশয়ের উর্ধ্বে উঠে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন দেখতে চায়।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়াম্যান ইকবাল হোসেন রাজু, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, জহিরুল আলম রুবেল, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জসিম ভূইয়া, মনিরুল ইসলাম মিলন।