বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “চলমান ছাত্র আন্দোলন সমাধানহীন সরকারি সহিংসতার ছোবলে রক্তাক্ত। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নিয়ে এখন অবলম্বন করা হয়েছে নির্যাতনের পথ। সরকারি সহিংসতার পাশাপাশি নির্বিচারে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। দেখানো হচ্ছে নানা ধরনের নাটক ও প্রহসন।
“ওবায়দুল কাদের সাহেব ইনিয়ে বিনিয়ে নাটক করে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাবেন- জনগণ আর বিশ্বাস করে না। এক এগারোর কথা বলে বা ওমুক-তমুক কথাবার্তা বলে আপনারা আর পার পাবেন না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, সাবধান হোন। নইলে আপনাদের সরকারের পরিণতি হবে কঠিন।”
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেশে যখন শান্তিময় পরিবেশ বিরাজ করেছিল, ঠিক সেসময়ে ১/১১ কুশীলবরা আবার রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে।”
রিজভী বলেন, “ওবায়দুল কাদের সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন এক এগারোর কুশীলব কারা? তাহলে আপনারা কে? আপনাদের আন্দোলনের ফসলই তো এক এগারো। আপনিই তো এক এগারোর প্রক্রিয়াকে মহিমান্বিত করে তা ‘পাঠশালা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।”
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে সরকার ‘গুজব’ এর আশ্রয় নিয়েছে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, “ওবায়দুল কাদের সাহেবরা শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে পারছেন না বলেই এখন পাগলের প্রলাপ শুরু করেছেন, গুজবের আশ্রয় নিচ্ছেন। জনগণকে বিভ্রান্ত করতে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।”
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।