বুধবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, নব্বইয়ের গণঅভ্যুথানের চূড়ান্ত লগ্নে তখনকার সরকারপ্রধান এইচ এম এরশাদ ‘তিন দিন আগেও’ বুঝতে পারেননি যে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছেন।
“তিনি কোনো একটা ব্রিজ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন, সেদিন লক্ষাধিক মানুষ হয়েছিল। সেটা দেখে বোঝা যায়নি তিন দিন পরে তাকে চলে যেতে হবে…। এরশাদ সাহেব নিজেই বলেছিলেন মওদুদ সাহেবকে, আমার প্রেসিডেন্টশিপ আপনি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে গ্রহণ করেন।”
সামরিক শাসক এরশাদ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সম্মিলিত আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। এরশাদ সরকারের সেই সময়ের উপ রাষ্ট্রপতি মওদুদ আহমদ এখন বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতা।
নোমান বলেন, “মওদুদ সাহেব সেদিন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের কাছে ক্ষমতা দিয়েছিলেন। এসব কিছু কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে করতে হয়েছিল। তারা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সেই কাজটা করেছিল। আজকের বাংলাদেশেও সেই অবস্থার সৃষ্টি হবে।”
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিশু-কিশোরদের আন্দোলন নিয়ে ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ বিএনপির বিরুদ্ধে করা হচ্ছে, তা অস্বীকার করেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান নোমান।
“আমরা যখন সমর্থন করলাম, সেই সমর্থন উসকানি হয়ে গেল! আর প্রধানমন্ত্রী, তার মন্ত্রিসভা ও ওবায়দুল কাদের যখন সমর্থন করলেন- তখন উসকানি হল না, তা সহযোগিতা হল। আমরা বলতে চাই, আমরা উসকানি দিইনি, সহযোগিতা করেছি।
“উসকানির কথা বলে যেভাবে আজকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, আমরা মনে করি এই মামলা দুরভিসন্ধিমূলক। এই মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক।”
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এই আলোচনা সভায় কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিও জানান নোমান।
সংগঠনের উপদেষ্টা মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা সোয়ায়িব আহমেদ, ব্যারিস্টার ফর চেঞ্জ এর সভাপতি ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন আলোচনায় অংশ নেন।