বল প্রয়োগ করতে এলে কি ‘চুমু’ খাবে: ওবায়দুল কাদের

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্য থেকে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয় লক্ষ্য করে হামলা হয়েছিল বলেই প্রতিরোধ করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2018, 07:31 AM
Updated : 5 August 2018, 07:31 AM

আগের দিন জিগাতলায় সংঘর্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “এখন আপনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে গোলাগুলি করতে করতে আসবেন, তাদের কে কি বল প্রয়োগ করবে না? চুমু খাবে?”

এক গুজব থেকে শনিবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিরাপদ সড়কের  আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা চড়াও হলে তাদের উপর হামলা হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়।

রোববার সকালে শেখ কামালের জন্মদিনে বনানীর কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়া ওবায়দুল কাদেরের কাছে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, শিক্ষার্থীরা আবার রাস্তায় নামলে তাদের উপর বল প্রয়োগ করা হবে কি না?

উত্তরে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো প্রকার বল প্রয়োগে যায়নি।

“অশুভ শক্তি ছাত্রদের আন্দোলনে ঢুকে আমাদের উপর আক্রমণ চালিয়েছিল, আমাদের ১৭ জন নেতাকর্মী হাসপাতালে আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছে।”

নিরাপদ সড়কের দাবিতে গত এক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন ঘিরে নাশকতার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের দাবি।

তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্র তো চলছেই, এই অগাস্ট মাসেও আমরা ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি, গন্ধ পাচ্ছি বাতাসে, অশুভ শক্তির আস্ফালনের গন্ধ পাচ্ছি।”

কাদের বলেন, “আজকে ছাত্রছাত্রীদের অরাজনৈতিক নিরাপদ সড়কের দাবিতে যে আন্দোলন, সেই আন্দোলন কারা নোংরা রাজনীতির দিকে ‍নিয়ে যেতে চায়, সেটা গত তিন দিনে পরিষ্কার হয়ে গেছে। গতকাল তো দিবালোকের মতো  পরিষ্কার হয়ে গেছে, কারা?

ওবায়দুল কাদের (ফাইল ছবি)

“বিএনপি এবং তাদের উগ্র সাম্পদায়িক শক্তির দোসররা কিভাবে এই নিরীহ কোমলমতি আন্দোলনের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে এই আন্দোলনকে নোংরা রাজনীতির খেলায় পরিণত করার জন্য তাদের যে তৎপরতা, এটা দেশবাসী লক্ষ করেছে।”

এসময় ইন্টারনেটে আসা বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর কথিত ফোনালাপের কথা তুলে ধরেন কাদের।

“বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুমিল্লা থেকে ঢাকায় লোক পাঠানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছে। এই আন্দোলনকে ঘিরে ছাত্রছাত্রীদের সামনে দিয়ে পেছনে বয়স্ক বয়স্ক অনেকে, যাদের বয়স ৩৫ ও ৪০ বছর, তারা স্কুল-কলেজের ড্রেস বানিয়ে নেমেছিল।”

গুজব ছড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরে কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগ অফিসে মেয়েদের নাকি আটকে রেখেছে, সাংবাদিক বন্ধুরা আপনারা আওয়ামী লীগ অফিসে সারাদিন ছিলেন, কোথায় আটকেছিল কে? অনেক ঘটনাই ফাঁস হয়ে যাবে, সবার ছবি আছে। সবার কার্যক্রম আমরা নীরবে লক্ষ করেছি।”

‘অশুভ শক্তি’কে প্রতিরোধ করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান কাদের।