সিলেটে পিছিয়ে থাকা কামরানের ভোট পুনর্গণনা দাবি

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফল ঘোষণার মধ্যে ভোট পুনর্গণনার দাবি উঠেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দীন আহমদ কামরানের পক্ষ থেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2018, 05:31 PM
Updated : 30 July 2018, 06:53 PM

সোমবার দিনভর ভোটগ্রহণের পর নগরীর উপশহরে স্থাপিত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ফল ঘোষণা করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান। 

১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে রাত ১১টা নাগাদ ১১৮টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা হয়। তাতে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী কয়েক হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন।

এসময় সেখানে উপস্থিত আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে ভোট পুনর্গণনার দাবি তোলেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তারা যে ফলাফল পেয়েছেন, তা রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফলাফলের সঙ্গে মিলছে না।

সিরাজ সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত, ভোট পুনর্গননা এবং কয়েকটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট নেওয়ার জন্য বলেছি। কারণ এখানে যে ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে কেন্দ্রে আমাদের পোলিং এজেন্টদের দেওয়া ফলাফলের সঙ্গে মিলছে না।”

রিটার্নিং কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্টকে বলেছেন, বিষয়টি দেখবেন তিনি।

এসময় বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক ফল ঘোষণার ওই কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ফল চলছে, সেখানে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী

তিনি ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই অনিয়মের অভিযোগ তুলে বলেছিলেন ফল যাই হোক না কেন, তিনি তা প্রত্যাখ্যান করছেন।

ওই সময় পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে ধানের শীষ প্রতীকে আরিফুল পেয়েছিলেন ৮১ হাজার ৫১৮ ভোট। কয়েক হাজার ভোটে পেছানো কামরানের নৌকা প্রতীকে ভোট ছিল ৭৭ হাজার ৯৫৯ ভোট।

সিলেটে অনিয়মের অভিযোগে দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হয়েছে। সেখানে ভোট রয়েছে ৪ হাজার ৭৮৭টি।

মেয়র পদে প্রধান দুই প্রার্থীর ভোট কাছাকাছি থাকলে ওই দুটি কেন্দ্রের ভোট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই দুটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণের আগ পর্যন্ত ফলাফল ঝুলেও যেতে পারে।

সিলেটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দীন আহমদ কামরান

বরিশাল ও রাজশাহীর সঙ্গে সোমবার সিলেট সিটির ১৩৪টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ হয়।

সিলেটে মোট ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন।

একজন মেয়র, ২৭ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ৯ জন নারী কাউন্সিলর নির্বাচনে ভোট দেন ভোটাররা।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের যাত্রা শুরু হয় ২০০২ সালে।

২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কামরানকে প্রায় ৩৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী। সেবার ভোট পড়েছিল ৬২%।

২০০৮ সালে ভোটে জিতে কামরান মেয়র নির্বাচিত হয়ে পরের বার হেরেছিলেন। এবার নিয়ে  টানা তিনবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন তিনি।