মাহমুদুরের উপর হামলা মুক্তচিন্তায় আঘাত: ফখরুল

কুষ্টিয়ায় মাহমুদুর রহমানের উপর হামলাকে ‘মুক্তচিন্তা দমনে’ সরকারের তৎপরতা হিসেবে দেখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2018, 04:53 PM
Updated : 23 July 2018, 04:53 PM

এই হামলার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সোমবার ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) এক যৌথ মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমানের উপর ‘হত্যার উদ্দেশ্যে নিয়েই’ হামলা করা হয়েছে।

“গত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে মুক্তচিন্তার উপরে এভাবে আঘাত করে ‍যাচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই- এরা ছদ্মবেশে ভিন্ন পরিচয়ে বাংলাদেশে একদলীয়  শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।  তার পূর্বশর্ত হচ্ছে মুক্তচিন্তার গণমাধ্যমকে ধ্বংস করে দেওয়া।”

আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর মানহানির একটি মামলায় জামিন নিতে রোববার কুষ্টিয়া গেলে সেখানে আদালত চত্বরে তার উপর হামলা হয়। এই হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন তার সঙ্গীরা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাহমুদুর জরুরি অবস্থার সময় আমার দেশ পত্রিকাটির মালিকানা কিনে নিজেই সম্পাদকের দায়িত্ব নেন।

শহবাগে গণজাগরণ আন্দোলনের সময় সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আমার দেশের বিরুদ্ধে।

আদালত অবমাননার জন্য শাস্তিও পেতে হয়েছে মাহমুদুরকে। বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

ফখরুল কুষ্টিয়ায় মাহমুদুরের উপর হামলার জন্য পুলিশকেও দায়ী করেন। হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

হামলার আগে কুষ্টিয়ায় মাহমুদুর যখন অবরুদ্ধ ছিলেন, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।

 “গতকাল ঘটনা খবর আসার পর আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করি। তিনি আমাকে আশ্বাস দেন যে, আমি দেখছি। আমি ব্যবস্থা করছি তার সেইফ বেরিয়ে যাওয়ার।

“কিন্তু এসপি-পুলিশের উপস্থিতিতে মাহমুদুর রহমানকে যেভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে আহত করা হয়েছে …।”

এই হামলার প্রতিবাদে ২৫ জুলাই ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১১টায় অবস্থান কর্মসূচি ও সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী।

এছাড়া সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে ২৪ জুলাই ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, দিগন্ত টেলিভিশনের নির্বাহী পরিচালক মজিবুর রহমান মনজু, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের  রিয়াজুল ইসলাম রিজু, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।

আরও খবর