সেই সঙ্গে এই তিন সিটির ভোটের সময় সেনা মোতায়েনের দাবি আবারও কমিশনের সামনে তুলে ধরেছে দলটি।
নির্বাচনের পাঁচ দিন আগে সোমবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল এসব দাবি তুলে ধরে।
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, “তিন সিটি নির্বাচনের বিষয়ে ছয়টি সুনির্দিষ্ট লিখিত দাবি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে দিয়েছি। খুলনা ও গাজীপুরের মত অনিয়মের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে বিষয়ে ইসির সঙ্গে আলোচনা করেছি।”
তিনি বলেন, “বিভিন্ন কারণে নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এখন আশা, তারা ভালো নির্বাচন দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করবেন।”
গত ১৫ মে খুলনা সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে প্রায় ৬৬ হাজার ভোটে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। অনিয়মের কারণে সেখানে তিন কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হয়।
আর গত ২৬ জুন গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম দুই লাখের বেশি ভোটে পরাজিত করেন বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারকে। ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও জালভোটসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে সেখানে স্থগিত হয়েছে ৯টি কেন্দ্রের ভোট।
মঈন খান বলেন, “সেনাবাহিনীর ওপর মানুষের আস্থা রয়েছে। আমরা কমিশনকে আবারও বলেছি, অবিলম্বে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হোক।”
পরে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “তিন সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত যা আছে তা সন্তোষজনক বলা যায়।”
খুলনা-গাজীপুরের ভোট নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, “ওই নির্বাচনে অনিয়ম হয়নি এটা বলব না। অনিয়মের কারণে কয়েকটি ভোটকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। অনিয়মের কারণ খুঁজে তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
তিন সিটি নির্বাচন সুষ্ঠ, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে যাবতীয় কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন শাহাদাত হোসেন।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকের সময় নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন সহসভাপতি কামাল ইবনে ইউসুফ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স।