সোমবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসাং এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে একটি চলচ্চিত্রের মহরত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আগের দিনের দুটি ঘটনা নিয়ে একই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
ছাত্রলীগ নেতার করা মানহানির এক মামলায় জামিন নিতে কুষ্টিয়ায় গিয়ে রোববার হামলার শিকার হয়েছিলেন আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তার সঙ্গীরা এই হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে।
এনিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “কুষ্টিয়ার ঘটনা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা । এ ধরনের ঘটনা মাঝে মাঝে ঘটে, এ ধরনের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য যারাই জড়িত হোক না কেন, তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে তিনি বলেন, “ভিন্ন ভিন্ন মত থাকতেই পারে। বিভিন্ন সংবাদপত্র আছে-টেলিভিশন টকশো আছে, যে যেমন চাইছে বলছেন। এজন্য কারও উপর শারীরিকভাবে হামলা করতে হবে, এ রাজনীতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অতীতেও করেনি, আগামীতেও করবে না।”
“এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আগামীতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তার জন্য আমরা যেমন সতর্ক থাকব, পুলিশকেও বলব সতর্ক থাকতে,” বলেন মন্ত্রী কাদের।
কোটা সংস্কারের আন্দোলন নিয়ে ছাত্রলীগকে ‘বাড়াবাড়ি’ না করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে ওবায়দুল কাদের জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রোববার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় হামলার শিকার হন কয়েকজন আন্দোলনকারী।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে কাদের বলেন, “কোনো মানববন্ধন কিংবা মিছিলে কি হামলা হয়েছে? হয়নি। রাজশাহী-চট্টগ্রামে কি কোনো হামলার ঘটনা ঘটেছে? ঘটেনি। ঢাকায়ও এমন কিছু হয়নি।
“যেটা হয়েছে রাস্তায়। তারপরও বলবো ওই বিচ্ছিন্ন ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে। কাজ শুরু হয়েছে, কারা সরকারকে বিপাকে ফেলতে চায়।”
রাজশাহীতে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পথসভায় হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের তদন্তে বিএনপির এক নেতার জড়িত থাকার তথ্য উদ্ঘাটনের কথা বলেন কাদের।
একইসঙ্গে তিনি সিলেটে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের জন্য বিএনপিকে দায়ী করেন।
তিনি বলেন, “তারা অশুভ তৎপরতায় লিপ্ত। এগুলোর দায় বিএনপি কীভাবে স্বীকার করে সেটা দেখার বিষয়।
“সিলেটে নৌকার প্রতিপক্ষ ধানের শীষ, তাহলে বিএনপি না দিলে কে আগুন দিল? এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী বলেন তা শোনার অপেক্ষায় আছি।”
আরও খবর