কুষ্টিয়ায় আদালত প্রাঙ্গণে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের উপর হামলার পর ঢাকায় জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে এই দাবি করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, “এই রাষ্ট্রযন্ত্র সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র এখন রাষ্ট্র নেই, এটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এখানে রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করছে না।
“আজকে পুলিশ চলছে আওয়ামী লীগের নির্দেশে, দুঃখজনকভাবে বিচারাঙ্গনকেও তারা প্রায় দখল করে ফেলেছে। রাষ্ট্রযন্ত্র আওয়ামী লীগের ক্রীড়ানকে পরিণত হয়েছে।”
মানহানির এক মামলায় জামিন নিতে কুষ্টিয়ায় আদালতে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান। তার উপর হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন তার সঙ্গীরা।
ফখরুল বলেন, “মাহমুদুর রহমান সাহেব যখন আদালতের কাছে প্রোটেকশন চান, কোর্ট থানায় ফোন করে এবং ওসিকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। ওসি সেখানে এসে উপস্থিত হননি। এরপর একেবারে উচ্চ মহলেও পর্যন্ত যোগাযোগ করা হয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সরকারের পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। উপরন্তু তাদের সহায়তায় ….।
“আদালতে যে ওসি থাকেন, তিনি মাহমুদুর রহমান সাহেবসহ অন্যান্যদেরকে বলেছেন, আপনারা বাইরে আসেন। বলা যায় যে, জোর করে বের করে ওই সন্ত্রাসীদের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
রক্তাক্ত মাহমুদুরকে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করার সমালোচনাও করেন বিএনপি মহাসচিব।
“সরকারের দায়িত্ব ছিল সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ হেফাজতে তাকে হাসপাতালে পাঠানো ও তারপর তাকে ঢাকায় আসার ব্যবস্থা করা।”
হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান ফখরুল।
তিনি সেই সঙ্গে বলেন, “এই সরকারের পতন না ঘটানো গেলে এসব অন্যায়ের বিচার হবে না।”
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠকের পর এই সংবাদ সম্মেলনে আসেন ফখরুল।
এতে উপস্থিত ছিলেন মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, ফজলুল হক মিলন, আসাদুল হাবিব দুলু, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মাহবুবুর রহমান শামীম, শামা ওবায়েদ, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।