ধানের শীষের এজেন্টরা সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার: বিএনপি

ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীর মনোনীত এজেন্টদের তুলে নিয়ে গিয়ে সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2018, 11:05 AM
Updated : 22 July 2018, 11:05 AM

রোববার সকালে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষের এজেন্টদের সাদা পোষাকধারী কর্তৃক তুলে নেওয়ার পর অস্বীকার করার ধুম শুরু হয়েছে। রাজশাহীতে যাদেরকে এজেন্ট মনোনীত করা হয়েছে, তাদের কারো নামেই কোনো মামলা নেই।

“অথচ গোয়েন্দা পুলিশ এজেন্টদের নির্বিচারে আটক করে ১৫/২০ ঘণ্টা পর তাদের নামে মিথ্যা মামলা, বানোয়াট মামলা সাজিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। একই রকম সিলেট ও বরিশালে। উদ্দেশ্য একটাই- ভোটারদেরকে ভয় পাইয়ে দেওয়া।”

তিন সিটিতে পুলিশি অভিযানের নামে জনমনে ‘আতঙ্ক’ সৃষ্টি, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি ও নির্বাচনী প্রচারে ক্ষমতাসীনদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে ধরেন রিজভী।

“বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে আমাদের প্রতিনিধিদল গেছেন ইসিতে। এখন যেসব অভিযোগ তা স্থানীয়ভাবে বলছেন, আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে বলছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগগুলো পাওয়ার পরেও নির্বিকার, নিশ্চুপ। শুধু নিরব নয়, সরকারের অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করছে তারা।

“ভোট সন্ত্রাসকে মহিমান্বিত করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ও নির্বাচন কমিশনের কর্তকর্তাদের বক্তব্য অভিন্ন।”

বরিশালে ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী একেএম শহীদুল্লাহ, জামায়াতের মহানগর সেক্রেটারি জহিরুদ্দিন মো. বাবর, রাজশাহীর মাইনুল ইসলাম হারু, খন্দকার ওয়ায়েস করনী ডায়মন্ড, ইফতিয়ার মাহমুদ বাবু, শিবলী, হাফিজুল ইসলাম আপেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযোগ করে ঘটনার নিন্দা জানান তিনি।

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার সাথে তার স্বজন ও আইনজীবীদের সাক্ষাতের প্রসঙ্গ টেনে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “আমরা যতটুকু জেনেছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনো গুরুতর অসুস্থ। তার জ্বর ও শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা কোনভাবে কমছে না। অসুস্থতার কারণে তিনি নিচের তলায় নেমে দর্শনাথীদের সাথে দেখা করতে পারছেন না। গতকাল তার স্বজন ও আইনজীবীরা উপরে গিয়ে এটা প্রত্যক্ষভাবে দেখে এসেছেন।”

তাকে অবিলম্বে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবারও দাবি জানান রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবদুস সালাম আজাদ, শামসুজ্জামান সরুজ, আমিনুল হক, হাফেজ আবদুল মালেক ও শাহ মো. নেসারুল হক উপস্থিত ছিলেন।