বুধবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ওই দলগুলোর নেতারা।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াতের অশুভ শক্তিকে জাতীয় নির্বাচনে চূড়ান্ত পরাজিত করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৃণমূল বিএনপিসহ নয়টি দল আমাদের সাথে কাজ করতে চায়। আমরা বৈঠক করেছি, ওনারা আমাদের সঙ্গে থাকার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে বাকি সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেবেন।
“প্রধানমন্ত্রীর এ ব্যাপারে নির্দেশনা আছে। এই লক্ষ্যে আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। একাত্তরের ঘাতকদের লালনকারী বেগম খালেদা জিয়ার অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে আন্দোলন করতে চাই। তারই ধারাবাহিকতায় এ লড়াইয়ের সাথে শরিক হতে চায় এই নয়টি দল।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাবেক নেতা ও তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমূল হুদা বলেন, “জাতীয়তাবাদী শক্তি বলতে তাদেরই বোঝায় যারা অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে বিশ্বাস করে; এবং সেই জাতীয়তাবাদী শক্তি আজ সাম্প্রদায়িকতার কলসে কলুষিত। সেই জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন সুদৃঢ় করার জন্য জাতীয়বাদী জোট হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর অনুরাগী হয়ে কাজ করতে চাই।”
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মন্ত্রী ছিলেন নাজমুল হুদা। এখন ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা’ শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ‘অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদী জোট’ গঠন করতে চান তিনি।
নাজমুল হুদা বলেন, “যে সমস্ত চক্রান্ত হচ্ছে জনগণের বিরুদ্ধে সেটাকে মোকাবেলা করার জন্যই এই অসাম্প্রদায়িক জোট করার জন্য কাজ করব। আমরা মনে করি, অসাম্প্রদায়িক জাতীয়বাদী জোট মিলিত হয়ে সবার সমন্বয়ে শক্তিশালী জোটে রূপান্তরিত করা যায়, তাহলে গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে পারব।”
তৃণমূল বিএনপির পাশাপাশি গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স, সম্মিলিত ইসলামিক জোট, কৃষক শ্রমিক পার্টি, একামত আন্দোলন, জাগো দল, ইসলামিক ফ্রন্ট ও গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।