তিনি বলেছেন, “আপনারা বলেছেন ইসির সচিব আওয়ামী লীগ দলীয় অফিসে যায়। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, ইলেকশন কমিশন সচিব কোনো দিনও আওয়ামী লীগ অফিসে যাননি।
“এটা তাদের সাজানো বানোয়াট মিথ্যা কথা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এটা তাদের প্রমাণ করতে হবে। তা না হলে এর জবাব তাদের দিতে হবে।”
বুধবার ঢাকার গুলশানের সিক্স সিজন হোটেলে নারী নেতৃত্বের উপর এক কর্মশালায় একথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
আগের দিন ফখরুল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সভায় বলেছেন, “একজন সচিবকে দিয়ে আপনারা (সরকার) নির্বাচন কমিশন চালান; হেলালুদ্দীন সাহেব। যে কথা শোনা যায়, তিনি নির্বাচন কমিশনে অফিস করেন ৪টা পর্যন্ত। তারপর চলে যান কোনো একটা বিশেষ দলের বিশেষ কার্যালয়ে। সেখানে তাদের দলের নির্বাচনের সমস্ত পরিকল্পনা তৈরি হয়। যেটার প্রধান হচ্ছেন এইচ টি ইমাম সাহেব।”
ওই সভায় আওয়ামী লীগকে একদিনের জন্য ক্ষমতা ছেড়ে অবস্থা দেখার আহ্বানও জানিয়েছিলেন ফখরুল।
এই বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, “আমরা একদিনের জন্য বিএনপির হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিলে কী হবে বলুন? বাংলাদেশ রসাতলে যাবে। এক দিনেই বাংলাদেশে রক্তের নদী বয়ে যাবে, একদিনেই বাংলাদেশ সন্ত্রাসের লীলাভূমি হয়ে যাবে, একদিনেই বাংলাদেশে পুরনো হাওয়া ভবন পুরনো খাওয়া ভবনে রূপান্তর হবে।”
আওয়ামী লীগ ‘জনবিচ্ছিন্ন’ বলে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, “সরকার জনবিচ্ছিন্ন কি জনসমর্থনপুষ্ট, তার প্রমাণ সাম্প্রতিক খুলনা সিটি ও গাজীপুর সিটি নির্বাচন।
“আরও যদি প্রমাণ চান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আসুন জনপ্রিয়তা যাচাই হবে। জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারেন। গাজীপুরে শিক্ষা হয়নি? খুলনায় শিক্ষা হয়নি? আর কত শিক্ষা চান?”
বিএনপি তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে কি না, সেটা অক্টোবরেই প্রমাণ হবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
“কথার সাথে কাজের মিল তাদের নেই। অক্টোবরে নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা হবে, দেখা যাবে এই কথার মানে কী।”
খালেদার মুক্তির বিষয়টি আদালতের উপর নির্ভরশীল মন্তব্য করে মন্ত্রী কাদের বলেন, “তাকে দণ্ড দিয়েছে আদালত, মুক্তিও দিতে পারে আদালত। তাদের কথায় মনে হয়, আওয়ামী লীগই যেন তাকে আটকে রেখেছে, শেখ হাসিনা আটকে রেখেছে। এটা কিন্তু বাস্তব না। আপনাদেরকে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমেই মুক্ত করতে হবে।”