বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। খালেদা জিয়ার মামলায় আদালতে শুনানিতে অংশ নেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, “আমি যেটা দেখেছি, সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে নিম্ন আদালত পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার মামলার ব্যাপারে যে ধরনের আদেশ দেওয়া হয়েছে তা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার পরিপন্থি। সেই কারণে বিচার বিভাগের প্রতি আমাদের আস্থা দিন দিন ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে।
“আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার আশু মুক্তির সম্ভাবনা আমি দেখছি না। রাজপথ উত্তপ্ত করতে হবে। রাজপথ যদি উত্তপ্ত করা যায় তখনই দেখবেন এই বিচার বিভাগেরও পরিবর্তন আসবে।”
সেই আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ‘জাতীয় ঐক্যের’ বিকল্প দেখছেন না বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, “আজকে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার যেখানে পর্যবসিত, হত্যা-গুম যেখানে চিরাচরিত ব্যবস্থা হয়েছে সেখানে জাতীয় ঐক্য দরকার।
“আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে জাতীয় নেতারা আছেন তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতীয় ঐক্যের পথে এগিয়ে যাবে। জাতীয় ঐক্য যদি হয় তাহলে তারপর এই সরকারের টিকে থাকার আর কোনো পথ থাকবে না, সরকারকে বিদায় নিতে হবে।”
মালয়েশিয়ার সাম্প্রতিক নির্বাচনে নাজিব রাজাকের পরাজয় থেকে শিক্ষা নিতে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের তৃতীয় তলায় স্বাধীনতা মিলনায়তনে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উদ্যোগে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন ও চিকিৎসা নিয়ে সরকারের অপকৌশল বন্ধের’ দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, নির্বাহী কমিটির ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, কল্যাণ পার্টির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান তামান্না, মহানগর বিএনপির ফরিদউদ্দিন, কৃষক দলের শাহজাহান সম্রাট, নজরুল ইসলাম মোল্লা, কাজী মনিরুজ্জামান মনির, গাউসুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।