‘নেত্রী বলেছেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘অংশগ্রহণমূলক’ হবে ধরে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে দলের সংসদ সদস্যদের বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2018, 03:01 PM
Updated : 5 July 2018, 07:07 PM

বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা দেন বলে বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সংসদ সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

এই বছরের শেষে একাদশ সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। দশম সংসদ নির্বাচন বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বর্জনের মধ্যে হওয়ার পর এবার চিত্র বদলাবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। এবার তারা নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকারের’ সঙ্গে দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির শর্তও দিয়েছে।

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা ‘সহায়ক সরকারের’ দাবিতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানানোর পাশাপাশি খালেদার মুক্তির বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার বলে বিএনপিকে বলে আসছেন।

সেই সঙ্গে ক্ষমতাসীনরা বিএনপি না এলে তাদের বাদ রেখেই নির্বাচন করে খেলার কথা বলছেন, যা বিএনপিকে ভোট থেকে বাদ দেওয়ার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।

এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দলের সংসদ সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে নির্বাচনের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, এক তরুণ সংসদ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নেত্রী বলেছেন, আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। এজন্য, আমাদের এলাকায় গিয়ে কাজ করতে বলেছেন।”

“প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন,” বলেছেন আরেক সংসদ সদস্য।

বৃহস্পতিবার সকালে পিজিআরের অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় শেখ হাসিনা বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। যদি বাংলাদেশ জনগণ ভোট দেয়, আল্লাহর ইচ্ছা থাকে, হয়ত আবার সরকার গঠন করব। আর যদি না হয়, সরকার গঠন করব না।”

এরপর বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনে সরকারদলীয় সভাকক্ষে সংসদ সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনের বিধি আরও ২৫ বছর বহাল রাখার বিলটি পাসের জন্য এই অধিবেশনেই উত্থাপন হবে জানিয়ে সেদিন সবাইকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে বলে জানান সংসদ সদস্যরা।

সংবিধানে সপ্তদশ সংশোধনী আনতে ১০ এপ্রিল বিল সংসদে তোলা হয়।

২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সময় সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৫০ করা হয়। তবে ওই সময় মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।

সংবিধান অনুযায়ী ৩৫০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০০ জন এবং সংসদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে ৫০ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।