আইনি পথে খালেদার মুক্তির আশা দেখছেন না খন্দকার মাহবুব

এক মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আটকে যাওয়ার পর তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে আইনি প্রক্রিয়ায় ‘স্বল্প সময়ের’ মুক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করছেন না।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2018, 03:11 PM
Updated : 2 July 2018, 03:11 PM

আপিল বিভাগ কুমিল্লায় পেট্রোল বোমায় বাস পুড়িয়ে মানুষ হত্যার মামলায় সোমবার খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিতের আদেশ বহাল রাখার পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুবের এমন প্রতিক্রিয়া আসে। 

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষের সামনে সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব বলে তিনি মনে করেন কি না।

জবাবে খন্দকার মাহবুব বলেন, “সেটা তো আমরা বলতে পারব না।… আমরা বলছি, বর্তমানে যে আইনি প্রক্রিয়া চলছে এবং যে ধরনের আদেশ দেওয়া হচ্ছে তাতে আমার মনে হয়, সরকারের ইচ্ছাই প্রতিফলিত হচ্ছে।”

খন্দকার মাহবুব গত জুনে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া সরকারের পক্ষেও খালেদা জিয়াকে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব না।

আর সোমবার সর্বোচ্চ আদালতে জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল থাকার আদেশ আসার পর তিনি বলেন, “এখানে খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় বের করা সম্ভব হবে না। তদুপরি তার চিকিৎসার ব্যবস্থাও হচ্ছে না। এমনও হতে পারে তার অবস্থা আরও সঙ্কটাপন্ন হবে।”

সরকার জেলখানায় খালেদা জিয়াকে ‘তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে’ অভিযোগ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাব- এ বিশ্বাস দিন দিন ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে।”

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডের রায়ের পর সাড়ে চার মাস ধরে বন্দি খালেদা জিয়া ইতোমধ্যে ওই মামলায় সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। কিন্তু কুমিল্লার ওই হত্যা মামলাসহ কয়েকটি মামলায় জামিন না হওয়ায় তার মুক্তিও আটকে আছে।

২০১৫ সালে চৌদ্দগ্রামে একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় দগ্ধ হয়ে আটজনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা এ মামলায় হাই কোর্ট খালেদা জিয়াকে জামিন দিলেও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে চেম্বার আদালত তা স্থগিত করে দেয়।  

রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ সোমবার বলেছে, খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে হাই কোর্টের দেওয়া রুল চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। সে পর্যন্ত জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।

এর ফলে অন্য সব মামলাতেও যদি জামিন হয়, তারপরও আগামী এক মাসে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ থাকছে না।  

খন্দকার মাহবুব বলেন, “আজকে অত্যন্ত আশ্চর্যজনকভাবে জামিন স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন। জামিন প্রশ্নে দেওয়া রুল প্রথমে দুই সপ্তাহের মধ্যে হাই কোর্টকে নিষ্পত্তি করতে বলেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেলের আবেদনে চার সপ্তাহ সময় বাড়িয়ে দেন আপিল বিভাগ। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

আরও খবর-