জাতীয় ঐক্য করে আন্দোলনের কর্মসূচি: মওদুদ

জাতীয় ঐক্যের সৃষ্টি করেই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2018, 10:20 AM
Updated : 30 June 2018, 10:20 AM

শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমরা বিএনপি বা ২০ দলীয় জোট এককভাবে নয়, যারা এই সরকারের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অর্থাৎ যারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চায়, সুষ্ঠু একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে চায়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে চায়, যারা আইনের শাসনে বিশ্বাস করে... আওয়ামী লীগ ও তাদের ১৪ দল ছাড়া বাকী সকল শক্তি ও সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া চলছে …….।

“আমরা বলতে চাই, এমন ধরনের কর্মসূচি উপযুক্ত সময়ে দেওয়া হবে জাতীয় ঐক্য অর্জন করে, অর্জিত সেই ঐক্যের মাধ্যমেই এই সরকার বিদায় নেবে। আমরা মনে করি, জাতীয় ঐক্যই এই সরকারের পতনের মূল কারণ হবে।”

গাজীপুর ও খুলনার পর সামনের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে মওদুদ বলেন, “দেশের মানুষকে বোঝানোর জন্য যে দলীয় সরকারের অধীনে কখনো কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না এবং বিশেষ করে এই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। এটা খুলনা ও গাজীপুরে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে এবং রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেটেও যদি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে তা হলে আমাদের নতুন করে চিন্তা করতে হবে যে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব কি করব না।”

জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয় নাগরিক অধিকার মঞ্চের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়।

সরকার ‘কলা-কৌশল’ করে খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে অভিযোগ করে মওদুদ বলেন, “আমাদের প্রথম কাজ দেশনেত্রীকে মুক্ত করা। তার মুক্তির মাধ্যমেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমি মনে করি সরকার যত কলা-কৌশল করুক না কেন তাকে দীর্ঘদিন আটকে রাখতে পারবে না।”

“তারা ভয় করে যদি বেগম জিয়া বাইরে আসেন তাদের অবস্থা আগের চাইতেও শোচনীয় হবে- এটা তারা বোঝেন। যদি মুক্তি পেয়ে বেগম খালেদা জিয়া বেরিয়ে আসেন তাহলে বাংলাদেশে নতুন জোয়ার সৃষ্টি হবে এই সরকারের বিরুদ্ধে।”

আলোচনায় অংশ নিয়ে স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “নির্বাচন নিয়ে আজকে চক্রান্ত চলছে। মাঠ যখন ডিমান্ড করে তখন রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তে আসতে হয়। জনগণ কী চায় রাজনীতিবিদদের তা অনুধাবণ করতে হয়।

“জনগণ যা চায় তা করিতে যদি আমরা ব্যর্থ হই, জনগণ আমাদের ওপর অভিমান করবে। ১৭ কোটি মানুষ আজকে মুক্তি চায়। এজন্য সকলকে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।”

জাতীয় নাগরিক অধিকার মঞ্চের সভানেত্রী অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মোজাদ্দেদ আলী বাবুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমীন, হাজী নাজিমউদ্দিন মাস্টার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।