মঙ্গলবার ভোট চলার মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “গাজীপুর থেকে যেসব খবর থেকে আমাদের কাছে আসছে, তাতে এ পর্যন্ত শতাধিক কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রদান এবং ব্যালট পেপারে সিল মারার মহোৎসব চলছে।”
রিজভী বলেন, মুন্সিপাড়া, ৩, ১৫, ১৭, ৩১, ৩৫, ৩৭, ৪২ ও ৪৯ ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।
“অস্ত্রের মুখে, পুলিশের হুমকির মুখে এসব কাজ করে চলছে ক্ষমতাসীনরা।”
ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী হাসানউদ্দিন সরকারের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট সোহরাবউদ্দিন এসব বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার তারা পাননি বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পুলিশ গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটে ‘ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারের ভূমিকা’ পালন করছে।
“সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন, ভোটাধিকার ইত্যাদিকে তুচ্ছ বলে মনে করে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তো আছেই, এর চাইতে বড় সন্ত্রাসী বানিয়ে রেখেছে পুলিশকে। নিজেদের চেতনার লোকদেরকে ঢুকিয়ে তারাই এখন আওয়ামী ক্যাডারের ভূমিকা পালন করে এক তাণ্ডব শুরু করেছে গোটা এলাকায়। এরকম একটি পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে। আমরা জানিনা পরবর্তী সংবাদ কী আসে।”
মুন্নু টেক্সটাইল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের বিশাল লাইন থাকলেও কেন্দ্রের ভেতর ফাঁকা বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ভোটের দিনও বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর মিজানুর রহমানকে ‘গভীর রাতে গুলশানের বাসার দরজা ভেঙে’ গ্রেপ্তারের ঘটনার নিন্দা জানান রিজভী।
অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, শহীদুল ইসলাম বাবুল, শামসুজ্জামান সরুজ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।