তিনি বলেছেন, ধানের শীষের কোনো এজেন্টকে আওয়ামী লীগ ‘চেনে না’, বাধা দেওয়ারও প্রশ্ন ওঠে না।
জাহাঙ্গীর রোববার বিকালে গাজীপুরের ছয়দানা এলাকায় নিজের বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “তারা বলেছে, আমরা নাকি তাদের পোলিং এজেন্ট দিতে বাধাগ্রস্ত করছি। ৪২৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে তাদের কোনো এজেন্ট আমরা চিনিই না। বাধা দেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।
“আপনার এজেন্ট নাই, এটাতো আমার ব্যাপার না, আমার পার্টির ব্যাপার না। আপনার পার্টির কর্মীরা আসে না, আমরা কী বলব? আপনার কর্মীকে আপনি বোঝান। কেন তারা থাকবে, না থাকবে তাদের বোঝান। আমরা তো চিনি না।”
এর আগে সকালে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার অভিযোগ করেন, পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষ থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের নানা হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ও দলীয় রাজনীতির ‘স্বার্থে’ আওয়ামী লীগের প্রার্থী, সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বিএনপি প্রার্থী প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে বলে মন্তব্য করেন নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর।
“এত বড় একটি নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কাউকে হামলা, মামলা, জিডি, তাদের কোনো প্রচারে আমরা ব্যাহত করি নাই। বরঞ্চ আমি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাসায় গিয়েছি, আমি মাঝেমধ্যে তার সঙ্গে কথা বলছি। কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি-না, গণতান্ত্রিক উপায়ে কাজ করার জন্য।”
এদিকে সকালের সংবাদ সম্মেলনে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত জাহাঙ্গীর আলমের একটি ছবি দেখিয়ে বিএনপির প্রার্থী বলেন, এটাই প্রমাণ করে প্রশাসন নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
তবে প্রথম থেকেই নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি ও সব নিয়মকানুন মেনে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর।
“আমরা সরকারের কোনো সহায়তা নিচ্ছি না, আমরা স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের সহায়তা নিচ্ছি। উনি অন্য পার্টি থেকে বিএনপিতে গিয়েছেন। বিএনপি যদি উনাকে সহযোগিতা না করে আমাদের কী করার আছে? আমরা তো ২০ দিন ধরে আমাদের পোলিং এজেন্টদের নিয়ে সেমিনার করছি। বোঝাচ্ছি কীভাবে ভোট গ্রহণ করতে হয়।”
নিজের অসামর্থ্য ঢাকতে হাসান সরকার ‘অপপ্রচার’ করছেন বলেও অভিযোগ জাহাঙ্গীরের।
“উনি বয়সের কারণে হোক, অসুস্থতার কারণে হোক মানুষের কাছে যেতে পারছেন না। কিন্তু তিনি আমাকে এবং নৌকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এসব কাজগুলো করছে।”
নির্বাচনে জয়ী হলে সমাজের সবাইকে নিয়ে একসাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী প্রার্থী বলেন, “আমাদের রাস্তাঘাটে যানজট হচ্ছে, ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাই, স্কুল-কলেজগুলো পরিকল্পিতভাবে নাই, ঘাটতি আছে। আমি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে কাজ করব।”
ভোট পাওয়ার ব্যাপারে নিজের আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ লক্ষ মানুষ নৌকার পক্ষে নেমে এসেছে। আমরা ইচ্ছা ও আশা নগরবাসী আমাকে ভোট দিবে। ভোট তো মানুষের আমানত। তাদের কাছে চাইতে হবে। আমি বলেছি, আমি উন্নয়নগুলো করতে চাই। আশা করি, শহরের মানুষ আমাকে ভোট দিবে।”