দলটির অভিযোগ, কোনো মামলা ছাড়াই তাদেরকে সাধারণ পোশাকের পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে; কিন্তু তাদের কোথায় রাখা হয়েছে- সে বিষয়ে কিছু বলছে না।
শনিবার ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা তুলে ধরেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
হাসান সরকারের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাশিমপুর অঞ্চলের সদস্য সচিব শাহিন, সদস্য শাহজাহান ডিলার, কোনাবাড়ির আহ্বায়ক ড. মিলন, সদস্য তাইজুল ইসলাম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বালিয়ারার সদস্য আব্দুস সামাদ, কাউলতিয়া অঞ্চলের সদস্য শাহ আলম, টঙ্গীর মরকুন টেকপাড়ার যুগ্ম আহবায়ক আবু সায়েম, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের গাছা অঞ্চলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক, ৪০ ওয়ার্ডের পূবাইল ইছালির সদস্য আব্দুস সামাদ, পূবাইলের সদস্য কাজিমউদ্দিন, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের সানওয়ে মডেল স্কুল কেন্দ্রের কাওসার জোসেন ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাব উদ্দিন।
রিজভী বলেন, “পুলিশ প্রতি রাতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতাদের গ্রেপ্তারের জন্য বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। গত রাতে গোয়েন্দা পুলিশ স্থানীয় বিএনপির কাওয়ার হোসেন, গাছা অঞ্চলের ৩৫ ওয়ার্ডের ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদককে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও নেই।
“নেতা-কর্মীর বাসা-বাড়িতে পুলিশ তল্লাশির নামে পরিবারের সদস্য গালাগাল করছে, ভোট কেন্দ্রে না যেতে হুমকি দিচ্ছে। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ উদ্যোগে এইসব তল্লাশি চালাচ্ছে।”
এই বিএনপি নেতার অভিযোগ, ২৬ জুন গাজীপুরে ‘একতরফা নির্বাচন’ করতেই পুলিশ পুরো এলাকায় ‘ত্রাসের রাজত্ব কায়েম’ করেছে।
“অথচ নির্বাচন কমিশন একেবারেই নীরব, নিথর, নিশ্চল, চুপ হয়ে বসে আছে। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের এই চক্রের হীন অনাচারমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
রিজভী বলেন, এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
“লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের যে কথা আমরা বলছি, এটা এখন দূরের তারা। এই কমিশনের অধীনে কোনো এলাকায় নির্বাচনী মাঠ সমতল হওয়ার সম্ভব নয়।”
আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী ‘আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও’ কমিশন তা ‘দেখছে না’ বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, আসাদুল করীম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, শামসুজ্জামান সুরুজ, আমিনুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।